Patuli Tree Cut: পাটুলিতে অবাক কাণ্ড! রাস্তার ধারের ৩৭টি গাছ উধাও
KMC: জনৈক বাসিন্দা মনোজকুমার মুখোপাধ্যায় পাটুলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এমনকী তিনি রাজ্যপালকেও বিষয়টি জানাবেন বলেন। কারণ, এর আগে বালিগঞ্জের ১২ নম্বর রোনাল্ড রোডে গাছ কাটার খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

কলকাতা: একই রাস্তা। কিন্তু দু’ধারে দুই ভিন্ন ছবি। একদিকে ঢেলে সাজানো পথ। সাজানো হয়েছে রাস্তার ফুটপাত, ঝিল। অন্যদিকে ৩৭টি আস্ত গাছ গোড়া থেকে কেটে নিয়ে চলে গিয়েছে কেউ বা কারা। ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের উপরে পাটুলিতে এই চিত্রই ধরা পড়েছে। যেদিকে সাজানো হয়েছে সেটি ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। অন্যদিকে যে অংশে গাছ কাটা হয়েছে সেটি আবার ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। কারা এই গাছগুলি কাটল, তা নিয়েই এখন বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রকাশ্য দিবালোকে এই গাছগুলি কাটা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। অদূরেই কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের গড়িয়া ট্র্যাফিক গার্ডের নয়া আউটপোস্ট তৈরি হয়েছে। সেখানে দিনভর পুলিশের কর্মীরা রয়েছেন। অথচ তাঁদের নজরে বিষয়টি কেন এল না, প্রশ্ন ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে পাটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জনৈক বাসিন্দা মনোজকুমার মুখোপাধ্যায় পাটুলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এমনকী তিনি রাজ্যপালকেও বিষয়টি জানাবেন বলেন। কারণ, এর আগে বালিগঞ্জের ১২ নম্বর রোনাল্ড রোডে গাছ কাটার খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
পাটুলি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, নিমগাছ, পলাশ গাছ, দেবদারু গাছ, শিশু গাছ-সহ একাধিক গাছ লাগানো ছিল। সেগুলি সম্পূর্ণ রাতের অন্ধকারে কাটা হয়েছে বলেই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সেখানে যে অধিকাংশ গাছ নেই, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন পাটুলি থানার আধিকারিকরা। কিন্তু কীভাবে সেগুলি কাটা হল, কেনই বা পুলিশি নজরে তা এল না, তা নিয়ে ঈষৎ ভ্রুকুঞ্চিত থানার আধিকারিকদেরও।
কলকাতা পুরনিগমের পরিবেশ ও উদ্যান বিভাগের আধিকারিকরা যেখানে বারবার বৃক্ষরোপণের বার্তা দিচ্ছেন, কলকাতার মেয়র যেখানে পরিবেশ রক্ষা করার একাধিক পথ তৈরি করছেন, সেখানে এভাবে এতগুলি গাছ কে বা কারা কাটল? স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছে, পুলিশের এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে।
যাদবপুরের তৃণমূল বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার বলেন, “যে কোনওরকম গাছ পুরোপুরি কেটে ফেলা ঠিক নয়। তবে আমার কাছে এ সংক্রান্ত খবর নেই। পুরনিগম বলতে পারবে।” অন্যদিকে পুরনিগমের উদ্যান বিভাগের দায়িত্বে থাকা মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, “টহলদারির দায়িত্বে যারা থাকে, তারা দেখল না এটা কেমন করে হল? তাদের তো দায়িত্ব নিতে হবে।”
