Amit Shah: শাহী সফরের দিকে তাকিয়ে বিজেপি, রবিতে নেতাজি ইন্ডোরে কী বার্তা দেবেন শাহ?
Amit Shah: রবিবার নেতাজি ইন্ডোরে বিজেপির নেতা কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন রয়েছে। সেই সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন অমিত শাহ। সম্মেলনে থাকবেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। থাকবেন জেলা সভাপতি, মণ্ডল সভাপতিরা। থাকার কথা মণ্ডল পদাধিকারী-সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের। থাকবেন মোর্চাগুলির পদাধিকারীরাও।

কলকাতা: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ২ দিন আগে রাজ্যে এসে বিজেপির প্রচারের সুর বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন তাঁর ডেপুটি অমিত শাহ। নির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ী, শনিবার রাতে কলকাতায় আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাতে হোটেলে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের এক প্রস্ত বৈঠক করে নিতে পারেন তিনি।
রবিবার রাজারহাটে সিএফএসএলের সরকারি কর্মসূচি রয়েছে তাঁরা। জানা গিয়েছে, সকালে ওই সরকারি কর্মসূচি সেরে বাইপাসের ধারে হোটেলে ফিরে আসবেন শাহ। হোটেলে মধ্যাহ্নভোজ সেরে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পৌঁছবেন। সেখানে বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন রয়েছেন। সেই সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন তিনি। সম্মেলনে থাকবেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। থাকবেন জেলা সভাপতি, মণ্ডল সভাপতিরা। থাকার কথা মণ্ডল পদাধিকারী-সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের। থাকবেন মোর্চাগুলির পদাধিকারীরাও।
রাজ্যে ১৩০০ মণ্ডল রয়েছে পদ্ম শিবিরের। ইতিমধ্যে কয়েকটি ছাড়া সব জায়গায় নতুন মণ্ডল কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি মণ্ডলে সভাপতির পদে এসেছেন নতুনরা। আবার ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩৯টি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতির নাম ঘোষণা হয়েছে। তার মধ্যে ২৮ জন নতুন সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।
সংগঠনের সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত থাকলেও পদাধিকারী হিসাবে নতুন রয়েছেন অনেকেই। সেই নতুনদের পথ দেখাবেন বুথ স্তর থেকে শীর্ষ স্তর পর্যন্ত সংগঠনের দায়িত্ব সামলানো অমিত শাহ। অনেকে বলছেন, শাহের নেতাজি ইন্ডোরের সম্মেলন নতুনদের জন্য একটা কর্মশালা।
তবে শুধু নতুনরা নন। শাহের সফর দলের সব স্তরের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করবে বলেই মত শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারদের। কারণ, আগামী কয়েক মাস কোন পথে চলতে হবে, কী কী করতে হবে, কোন কৌশলে ভোট যুদ্ধে কিস্তিমাত করা যাবে, তার রূপরেখা অমিত শাহ স্থির করে দেবেন বলেই আশা তাঁদের।
এখনও পর্যন্ত রাজ্য সভাপতি নির্বাচন হয়নি। ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের বাকি আর কয়েক মাস। তার আগে নতুন কেউ বাংলায় পদ্ম শিবিরের অধিনায়ক হবেন, না কি সুকান্ত মজুমদারেই আস্থা রেখে ভোট বৈতরণী পেরোতে চায় বিজেপি? তার স্পষ্ট কোনও দিশা বা ইঙ্গিত মিলবে কি না, সেদিকে নজর রয়েছে বিজেপি নেতা কর্মী থেকে রাজনীতির কারবারিদের।
বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুসারে, যতক্ষণ না জাতীয় সভাপতি নির্বাচন বা ঘোষণা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত রাজ্যগুলি সাংগঠনিক প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবে। সেই অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই নতুন প্রদেশ পরিষদ গঠনের প্রক্রিয়া চলছে কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে। কারণ, বঙ্গে নতুন করে প্রদেশ পরিষদ গঠনের জন্য জেলাগুলি থেকে বিধানসভা ভিত্তিক নাম পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটি বিধানসভাওয়াড়ি একটি করে নাম পাঠানো হয় জেলাগুলি থেকে। প্রদেশ পরিষদই রাজ্য সভাপতি নির্বাচন করে থাকেন।
নেতাজি ইন্ডোরে দলের সম্মেলনের স্বামী বিবেকানন্দের সিমলার বাড়িতে সাধু-সন্ত সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিলিত হবেন শাহ। সেই কর্মসূচি সেরে দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা তাঁর।
দলের সর্বভারতীয় সভাপতি থাকাকালীন বঙ্গ বিজেপির হালহকিকত দেখতেন শাহ। সভাপতি না থাকলেও এখনও সেই সংগঠন নিয়ে কড়া দৃষ্টি রয়েছে তাঁর। সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে সঙ্গী করেই সংগঠনের ফাঁকফোঁকর মেরামত করে ভোট যুদ্ধের জন্য বঙ্গ বিজেপিকে কতটা প্রস্তুত করতে পারবেন শাহ, তার উপরেই বঙ্গে বিজেপির ছাব্বিশের যুদ্ধ জয় নির্ভর করবে বলে মত রাজনীতির কারবারিদের।

