নয়া দিল্লি: গত ১০ বছরে বাংলা এবং অসমে অন্তত ৭০ জন প্রশিক্ষিত আনসার (স্লিপার সেল সদস্য) তৈরি করেছে ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’। এই আনসারদের বড় অংশই আইইডি তৈরি করার এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র অ্যাসেম্বল করা থেকে শুরু করে ছোটখাটো মেরামতির কাজও তাদের নখদর্পণে। বাংলাদেশের অশান্তির আবহে পশ্চিমবঙ্গ, অসম থেকে একাধিক এবিটি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রও। মোট ১০ জন গ্রেফতার হওয়ার পর গোয়েন্দাদের হাতে উঠে আসছে আরও অনেক তথ্য।
‘আনসারুল্লা বাংলা টিমে’র ১০ সদস্যকে জেরা করে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। শাদ, নুর ইসলামকে জেরা করে মিলেছে একে ৪৭-এর মতোই হাতে বানানো রাইফেল। উদ্ধার হয়েছে আইইডি তৈরি করার সরঞ্জাম। অসম পুলিশের দাবি, উদ্ধার হওয়া কার্তুজ থেকে স্পষ্ট যে সম্প্রতি অস্ত্র প্রশিক্ষণ হয়েছে এই মডিউলের।
অসমের কোকরাঝার জেলার কোথাও এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। বাংলার আনসাররা অসমে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে না বাংলাতেই অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয় গোয়েন্দাদের কাছে।
আগেও দুবার ঠিক এই ধরনের রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। অসমের বড়পেটা এবং চিরাং-এ আনসারউল্লা বাংলা টিমের ডেরায় ২০১৫ এবং ২০২১ সালে উদ্ধার করেছিল অসম পুলিশ। গোয়েন্দাদের দাবি, বাংলাদেশ থেকে আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রশিক্ষিত সদস্যরা এসে অস্ত্র এবং আইইডি বানানোর প্রশিক্ষণ দিয়েছে। IED বানানোর ধাতব খোল দেখেই গোয়েন্দারা বুঝতে পারছে টাইমার বা দূর নিয়ন্ত্রিত বোমা বানানো হয়েছে।
প্রচুর পরিমাণ স্প্লিন্টার এবং শার্পনেল পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সুইচ উদ্ধার করা হয়েছে, যা দিয়ে টাইমার বোমা বানানো সম্ভব। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, কয়েক মাস ধরে চলছে হামলার প্রস্তুতি। আনসারুল্লা বাংলা টিমের আনসারদের চিহ্নিত করতে দেশ জুড়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। বাংলাতেও অস্ত্র মজুত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দাদের।