কলকাতা: বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি, তার জেরে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ, জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার আর সেই ঘটনার তদন্তে নেমে জাল পাসপোর্ট চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ-বিএসএফের অভিযান। কিন্তু এসবের পরও যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে, তা হল জাল পাসপোর্ট চক্রের আড়ালে সক্রিয় মানবপাচার চক্র। শুধু পুরুষ নয়, মহিলাদের নামেও ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরির নামে আবেদন জমা পড়েছিল এই চক্রের হাত ধরে। দাবি পুলিশ সূত্রে। দত্তপুকুর থেকে গ্রেফতার হওয়া জাল পাসপোর্ট চক্রের অন্যতম চক্রী মোক্তার আলমকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে।
পাসপোর্ট জালিয়াতির তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নিত্য নতুন তথ্য উঠে আসছে। যেহেতু মহিলাদের নামে ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরির আবেদন জমা পড়েছিল এই চক্রের মাধ্যমে, তাই তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান ট্র্যাফিকিং চক্রেরও যোগ থাকতে পারে। আলিপুর আদালতে এই সম্ভাবনার কথা পুলিশের তরফ থেকে তুলে ধরা হয়েছে।
সবটা শোনার পর আলিপুর আদালতের এসিজিএম বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি জানতে চান, এই চক্র কি কোথাও গিয়ে ভোটার তালিকাতেও নাম তুলে দেওয়ার কাজ করতেন? বাংলাদেশ থেকে অবৈধ ভাবে যে সব নাগরিকদের নিয়ে আসা হত, অবৈধ উপায়ে তাঁদের ভারতীয় নথি তৈরি করে দেওয়া হত, এই গোটা প্রক্রিয়াটি একটা প্যাকেজ সিস্টেমে হত। ৪-৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হত। মানবপাচার চক্রের যোগসূত্র থাকার যে সম্ভাবনা সেই বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলেছেন বিচারক।