Anubrata Mondal: ভাল যাচ্ছে না সময়, বীরভূমে ফিরে প্রথমবার প্রকাশ্যে অনুব্রত! মমতা-অভিষেকের নামে মাজারে চড়ালেন চাদর
Anubrata Mondal: বীরভূমের সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পাথরচাপুরী গ্রামের দাতাবাবার মাজারে চাদর চাপালেন বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
বীরভূম: গরুপাচার-কাণ্ড এবং কয়লা পাচার-কাণ্ডে তাঁকে একাধিকবার তলব করে সিবিআই (CBI)। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বারেবারেই হাজিরা এড়ান তিনি। সম্প্রতি গরু পাচার মামলাতেই সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিয়ে, প্রায় দেড় মাস পর ২০ মে বোলপুরের বাড়িতে ফেরেন বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তারপর থেকে সেখানেই ঘরবন্দি ছিলেন তিনি। ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষজন ছাড়া বিশেষ কারও সঙ্গেই দেখা করছিলেন না তিনি। অবশেষে বাড়ি ফেরার পর এবার ফের প্রকাশ্য়ে দেখা মিলল অনুব্রতর। পাথরচাপুরীর দাতাবাবার মাজারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার মেয়ে এবং স্ত্রীর নামে চাদর চাপান তিনি।
এদিন বীরভূমের সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পাথরচাপুরী গ্রামের দাতাবাবার মাজারে চাদর চাপালেন অনুব্রত। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে দেখা যায় পাথরচাপুরীর দাতাবাবার মাজারে। সেখানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিউড়ি বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও নানা বিষয়ে অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হলে এদিন তার বিশেষ উত্তর দেননি বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। শুধু বলেন, “আমি দিদির নামে আর অভিষেকের নামে চাদর চাপালাম। আমার স্ত্রী ও মেয়ের নামেও চাপিয়েছি”। অন্যদিকে শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “দেখতেই পাচ্ছেন। এখান থেকে একটু হেঁটে গেলে দু’বার দাঁড়াতে হচ্ছে”। প্রসঙ্গত, সিবিআই তলবের পর থেকেই সময়টা বিশেষ ভালো যাচ্ছে না বীরভূমের এই ‘বেতাজ বাদাশার’। শরীরটাও বিশেষ ভালো যাচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সিবিআই দফতরে অনুব্রতর আয়কর, সম্পত্তি সহ আয়-ব্যায়ের নানা নথি সিবিআই দফতরের জমা পড়ে। গত সপ্তাগেই অনুব্রতর আইনজীবী গিয়ে যাবতীয় নথি জমা করে আসেন। এরপর শুক্রবার ফের নিজাম প্যালেসে অনুব্রতকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি আসতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেলেন তাঁর আইনজীবী। পাশাপাশি এও জানিয়ে দেন চিকিৎসকদের নির্দেশেই ১৫ দিনের টানা বিশ্রামে রয়েছে অনুব্রত। তবে সিবিআই চাইলে তাঁর বাড়ি গিয়ে জেরা করতে পারে বলেও জানিয়ে ছিলেন আইনজীবী।