কলকাতা: দিনভর থাকে ব্যস্ত শিডিউল। রাজনীতির কারণেই ছুটতে হয় রাজ্য়ের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। দিনে প্রায়শই তাঁকে দেখা যায় টিভির পর্দায়। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে (North Bengal) দলীয় কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কোচবিহারে দলের কাজ সেরে রাতে কলকাতা ফিরছিলেন পদাতিক এক্সপ্রেসে। সেখানেই তাঁকে দেখে একবারেই চিনতে পেরে গেল এক ছোট্ট মেয়ে। দেখা মাত্রই ছুটে এল। একেবারে পাশে বসে করল আবদার, দিতে হবে অটোগ্রাফ।
যদিও তাঁকে দেখেই আটকাতে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদারের নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু, হাসিমুখে নিজেই ওই ছোট্ট মেয়েটিকে ডেকে নেন সুকান্ত। কথাও বলেন বেশ কিছুক্ষণ। এরপর খাতা পেন নিয়ে দিয়েও দেন অটোগ্রাফ। খোদ সুকান্তর কাছ থেকে অটোগ্রাফ পেয়ে তখন খুশিতে আত্মহারা ওই খুদে। হাসি মুখে বালুরঘাটের সাংসদের সঙ্গে তুললেন ছবিও। সূত্রের খবর, বাচ্চাটির বাড়ি কলকাতায়। বাবা-মায়ের সঙ্গে গিয়েছিল উত্তরবঙ্গে। ওইদিন পদাতিক এক্সপ্রেসে তারাও ফিরছিল কলকাতাতেই।
প্রসঙ্গত, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। যে কোনও মুহূর্তে ঘোষণা হয়ে যেতে পারে নির্ঘণ্ট। শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঝড় তুলতে গোটা রাজ্য দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শাসক থেকে বিরোধী দলের নেতারা। মঙ্গলবার কোচবিহারের তুফানগঞ্জ, ঘোকসাডাঙায় সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখান থেকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লাগাতার সুর চড়ান তিনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে সুকান্ত বলেন, “পুলিশ ছাড়া তৃণমূল ১৫ মিনিটেই শেষ।” পাল্টা সুকান্তর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, “নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া ঘুরে দেখুন, কলাপাতা দিয়ে লজ্জাস্থান ঢেকে বাড়িতে যেতে হবে। জামাকাপড় খুলে নেবে মানুষ।”