AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফোন না ধরা নিয়ে পালটা খোঁচা ‘ডি’-র, তথাগত বললেন, ‘দিল্লি গিয়ে অনেক কথা বলার আছে’

সমস্ত অভিযোগ পত্রপাট খারিজ করেছেন দিলীপ। কর্মীদের পাশেই তিনি রয়েছেন বলে দাবি করেছেন। পালটা খোঁচাও দিয়ে বলেছেন, "উনি তো কর্মীদের পাশে থাকতে পারেন।"

ফোন না ধরা নিয়ে পালটা খোঁচা 'ডি'-র, তথাগত বললেন, 'দিল্লি গিয়ে অনেক কথা বলার আছে'
ফাইল ছবি
| Updated on: Jun 04, 2021 | 6:51 PM
Share

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়াদের বাড়ি ফেরানো নিয়ে নিষ্ক্রিয় বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। এই নিয়ে একটি বিস্ফোরক টুইট করেছিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। ইঙ্গিত করেছিলেন একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা-সহ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দিকে। যদিও শুক্রবার সমস্ত অভিযোগ পত্রপাট খারিজ করেছেন দিলীপ। কর্মীদের পাশেই তিনি রয়েছেন বলে দাবি করেছেন। পালটা খোঁচাও দিয়ে বলেছেন, “উনি তো কর্মীদের পাশে থাকতে পারেন।”

বিষয়টি নিয়ে এ দিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “যিনি বলছেন তিনি তো পাশে থাকতে পারেন। আমি তো কর্মীদের সঙ্গেই আছি। বাস্তবটা কী।” কার্যত দিলীপ যেন বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, তিনি পাশে থাকলেও তথাগত দলীয় কর্মীদের পাশে নেই। যদিও তথাগতও ঠান্ডা থাকার মুডে নেই। প্রাক্তন রাজ্যপাল জানিয়ে দিয়েছেন, “আমি খুব শীঘ্রই দিল্লিতে যাব এবং একটি রিপোর্ট জমা দেব। আমার অনেক কিছু বলার রয়েছে। রিপোর্টে কী রয়েছে সেটা আমি এখনই বলছি না। কিন্তু যেটা আমি বলতে চাই তা হল, রাজ্যে বিজেপির পরিস্থিতি খুব একটা সুবিধাজনক নয়।”

প্রসঙ্গত, তথাগত ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরানোর বিষয়ে যে টুইট করেছিলেন সেখানে গতকালই উত্তর দেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কে কে ঘড়ছাড়া রয়েছেন তাঁদের বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তিনি। যারা দোষী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। সেই প্রসঙ্গে তথাগতকে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “বিজেপির কোনও নেতা তো আমার সঙ্গে কথা বললেননি। আমার ধারণা উনি ভেবেচিন্তে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।”

কী বলেছিলেন তথাগত? বুধবার রাতে একটি টুইটে তিনি লেখেন, “একজন কাছের মানুষ আজ কাঁদতে কাঁদতে আমার কাছে এসেছিলেন। বললেন, এমন কয়েক হাজার ব্যক্তি যারা বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলেন তাঁদের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাড়িয়ে দিয়েছেন (বাড়ি থেকে)। ফিরতে হলে তাঁদের কাছে থেকে মোটা টাকা চাওয়া হচ্ছে। আমি অসহায় বোধ করছি।” ঠিক এরপরেই কয়েকজন বিজেপি নেতার নাম ইঙ্গিত করে তিনি লেখেন, “রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কে-এস-এ পালিয়ে গিয়েছেন। ডি ফোন ধরছেন না।”

আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নেওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হলেও ভয় নেই মৃত্যুর: এইমস

রাজনীতির কারবারিরা জানাচ্ছেন, বিগত কয়েকদিন ধরেই তথাগত নিজের টুইটে বিজেপি নেতাদের নিশানায় নিতে তাঁদের নামের প্রথম ইংরেজি অক্ষর ব্যবহার করছেন। এ ক্ষেত্রে ‘কে’-র অর্থ কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ‘এস’ এবং ‘এ’-র অর্থ শিবপ্রকাশ ও অরবিন্দ মেনন। ‘ডি’ বলতে সরাসরি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেই ইঙ্গিত করতে চাইছেন তিনি।

এই টুইটের জবাবেই চন্দ্রিমাকে লিখতে দেখা যায়, “স্যর, আপনার কাছে আবেদন ঘটনাটির বিস্তারিত তথ্য আমাদের অবিলম্বে জানান যাতে আমরা রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে সবাইকে ঘরে ফেরাতে পারি।” সঙ্গে চন্দ্রিমার আশ্বাস, “যারা এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”

আরও পড়ুন: রাতেই আলাপনের জবাব পেয়েছে কেন্দ্র, খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ