কলকাতা: পঞ্চমীর রাতে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের ‘রামমন্দির’ দেখতে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। লেবুতলা পার্কে ঠাকুর দেখতে গিয়ে সজলের সঙ্গে মুখোমুখি কৌস্তভ। ‘রামমন্দিরে’র আদলে সেজে ওঠা পুজো মণ্ডপের সামনে খোশমেজাজে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলেন দু’জনে। একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছবিও তুললেন। কৌস্তভের সঙ্গে তাঁর আইনজীবী বান্ধবীও গিয়েছিলেন ঠাকুর দেখতে। এদিকে কৌস্তভকে দেখে, স্ত্রী তানিয়া ঘোষকেও ডেকে নিলেন সজল। আলাপ করিয়ে দিলেন।
রাজনীতির আঙিনায় দু’জন দুই ভিন্ন মেরুর। একজন কংগ্রেসের, অন্যজন বিজেপির। দুর্গাপুজোর মরশুমে রাজনীতির সব বেড়াজাল কাটিয়ে লেবুতলা পার্কে ধরা পড়ল এক ভিন্ন ছবি। পুজো মণ্ডপের সামনেই বেশ কিছুক্ষণ খোশমেজাজে আড্ডা মারলেন দু’জনে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে দলের বিভিন্ন পদক্ষেপে আপত্তি জানিয়েছেন, সমালোচনা করেছেন কৌস্তভ বাগচি। এখন দলের অন্দরেই একপ্রকার কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন তিনি। সম্প্রতি একাধিকবার দলের সমালোচনা করেছেন। টানা সুর চড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কৌস্তভ। এমনকী সম্প্রতি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পাশাপাশি মিছিলেও হাঁটতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের এই নেতাকে।
যদিও সেটি কোনও রাজনৈতিক দলের মিছিল ছিল না। গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন শুভেন্দু-কৌস্তভরা। সেই দৃশ্যের পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, কৌস্তভ কি তাহলে বিজেপিতে যাচ্ছেন? যদিও কংগ্রেস নেতা নিজেই এই বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। কৌস্তভ বাগচির বক্তব্য ছিল, তিনি একজন আইনজীবী হিসেবেই মিছিলে যোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে অযথা কোনও জল্পনা বাড়ানোর প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে আবার শুভেন্দু অধিকারীরও বক্তব্য ছিল, তিনি বিজেপি নেতা হিসেবে নন, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবেই মিছিলে পা মিলিয়েছেন।