BJP: দূরে সরিয়ে দিচ্ছে দল? কী বলছেন অভিমানী সায়ন্তন?
BJP: বঙ্গ আঙিনায় পদ্ম ফোটার সময় থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। কার্যত পোড় খাওয়া নেতা। কিন্তু, তার অভিজ্ঞতাকে কে দল কাজে লাগাতে চায় না? সায়ন্তনের উত্তর, অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবে কী সে নিয়ে আমার কী বলার আছে। আমি আমার বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি।
কলকাতা: একসময়ে পদ্ম শিবিরের যে কোনও মিটিং মিছিলে সামনের সারিতে দেখা যেত তাঁকে। রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষদের সঙ্গে হাঁটতেন একই মিছিলে। দু’বারের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন দিলীপ ঘোষ এর সভাপতিত্বে। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বসিরহাটের প্রার্থীও হয়েছিলেন। কথা হচ্ছে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকে নিয়ে। যদিও দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্ব শেষ হয়েছে অনেক আগেই। নতুন দায়িত্ব এসে পড়েছে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কাঁধে। তিনিই এখন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এদিকে এখন আর সায়ন্তনকে খুব একটা দেখা যায় না প্রচার অভিযানে। খুব একটা কথাও বলেন না সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। লোকসভা ভোটের মুখে তাঁর গলাতেও অভিমানের সুর। তবে দরাজ প্রশংসা দিলীপ ঘোষের।
‘দিলীপদার সঙ্গে কথা হয়েছে’
সাফ বললেন, “দিলীপদার সঙ্গে কথা হয়েছে। যেতে বলেছেন। তাই তাঁর হয়ে প্রচারে যাব। দিলীপদার ওখানে প্রচারে যেতে হবে। সপ্তাহখানেক পড়ে যাব বলে জানিয়েছি। এ রাজ্যে দলকে এই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কারিগর দিলীপদা। দিলীপদা সভাপতি হওয়ার আগে বাবুল সুপ্রিয়োর সাংসদ পদ ছাড়া আমরা জিতিনি। আর শমীক ভট্টাচার্য নিজের জোরে বাই-ইলেকশনে জিতেছিলেন।” তবে খানিক অভিমানের সুরে আরও বললেন, “প্রো অ্যাক্টিভ থাকব না। কারণ দায়িত্ব নেই। বললে যাব।” প্রচারের জন্য শুভেন্দু অধিকারী বা সুকান্ত মজুমদার কিছু বলেনি? সরাসরি উত্তর না দিয়ে খানিক এড়িয়ে বললেন, “এখন কথা না হলেও ভোট ঘোষণার আগে হয়েছিল। আর ভোট ঘোষণার পর প্রার্থীরাই ঠিক করেন কে কোথায় প্রচারে যাবেন।” তবে কর্মীদের সঙ্গে একটা মিস কমিউনিকেশন আছে। মানছেন সায়ন্তন। কর্মীদের ফের মাঠে নামাতে হবে। বারবার বললেন এই কথাটি। তাঁর দাবি, বিজেপির সমস্ত কর্মীরা নামলে তৃণমূল জিততে পারবে না।
এদিকে বঙ্গ আঙিনায় পদ্ম ফোটার সময় থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। কার্যত পোড় খাওয়া নেতা। কিন্তু, তার অভিজ্ঞতাকে কে দল কাজে লাগাতে চায় না? সায়ন্তনের উত্তর, অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবে কী সে নিয়ে আমার কী বলার আছে। আমি আমার বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। প্রয়োজন পড়লে আবার বিতর্কিত মন্তব্য করব। একইসঙ্গে আরও বলেন, “এখন লেখালেখির কাজ করছিলাম বলে সময় একটু কম দিয়েছি। আমি মনে করি না আমি কাজের মধ্যে নেই। নতুন দায়িত্ব প্রাপ্তরা দূরে সরিয়ে দিয়েছে কিনা যাঁরা দায়িত্বে আছে তাঁরা বলতে পারবেন। এই ব্যাপারে আমার বলাটা ঠিক হবে না।”
এবার বসিরহাটে বিজেপির টিকিটে দাঁড়াচ্ছেন সন্দেশখালির প্রতিবাদী রেখা পাত্র। কিন্তু, তার সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও কথা হয়নি বলেই জানাচ্ছেন সায়ন্তন। তবে এদিন তাঁর মুখে বারবার শোনা গেল শাহজাহানের নাম। বলেন, আমি ২০১৯ সালেই বলেছিলাম শাহজাহানরা কী করেন। এখন তো সবাই জানল। এরপরই খানিক খোঁচার সুরেই বলেন, “তবে আরও শাহজাহানরা আছে বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকায়। তাঁদের চিনতে হবে। আমি চিনতাম কারা আছে ওই সব এলাকায়। তাঁদের নিশ্চয় এখন যাঁরা আছেন চিনবে হয়তো।” কিন্তু, এই খোঁচা কাদের উদ্দেশ্যে? প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।