Suvendu Adhikari attacks Mamata Banerjee: ‘ভুয়ো খবর ছড়িয়ে খালি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা!’ মমতাকে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে মমতার এই কাজ ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর জন্য় নয়, ইচ্ছাকৃত ভাবে কুৎসা ছড়ানোর।
কলকাতা: ভুয়ো খবর ছড়িয়ে শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ উস্কে দিতে চান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমনই অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর আরও অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে মমতার এই কাজ ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর জন্য় নয়, ইচ্ছাকৃত ভাবে কুৎসা ছড়ানোর।
কিন্তু কী নিয়ে এমন অভিযোগ শুভেন্দুর?
সোমবার মিশনারিজ অব চ্যারিটির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন মাদার টেরিজার সংস্থার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্র সাফ জানায়, তারা কোনও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি। তাদের তরফে এ নিয়ে কোনও নির্দেশও দেওয়া হয়নি। মিশনারিজ অব চ্যারিটির তরফেই বলা হয় ওই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। একই কথা জানিয়েছে মিশনারিজ অব চ্যারিটি কর্তৃপক্ষও।
আর এরপরই মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানায় বিজেপি। পদ্ম শিবিরের নেতাদের দাবি, গোয়ার রাজনীতিতে জায়গা করে নিতে ধর্মকে হাতিয়ার করছেন মমতা, আর সেই কারণেই এই ‘মিথ্যা’ অভিযোগ। এ নিয়ে এদিন শুভেন্দু একেবারে মুখ্য়মন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডেলকে উল্লেখ করেই কটাক্ষ করেছেন। তিনি লেখেন, সত্য সর্বদাই প্রকাশ পায়। ওই টুইটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের টুইটার হ্যান্ডেলকেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
Fake news peddled by @MamataOfficial to fuel selective outrage against Central Govt & @HMOIndia. When a person occupying such position does this, it’s not due to misinformation, but a deliberate attempt to malign. But truth always prevails & it speaks for the one who abides in it https://t.co/yoNjqeippD pic.twitter.com/0ygk4EqjtF
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) December 27, 2021
প্রসঙ্গত, এদিন সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “মাদার টেরিজার সংস্থা মিশনারিজ অব চ্যারিটির সবকটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ক্রিসমাসে এমন খবর জেনে আমি স্তম্ভিত। সংস্থার অধীনে চিকিৎসাধীন ২২ হাজার রোগী ও কর্মীর জন্য নেই কোনও খাবার বা ওষুধ”। মমতার দাবি, আইন সর্বোপরি হলেও মানবিকতার সঙ্গে কোনও সমঝোতা করা উচিত নয়।
এদিকে এই ইস্যু প্রকাশ্যে আসার পর সোমবার বিকালেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার মিশনারিজ অব চ্যারিটির অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফ থেকে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে যে, সংস্থার তরফেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আর্জি জানানো হয়েছিল।
আর মিশনারিজ অব চ্যারিটির দাবি, তাঁদের এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশন বাতিল বা সাসপেন্ড করা হয়নি। কেন্দ্রের তরফে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার কোনও নির্দেশও আসেনি। তবে, তারা জানতে পারে, এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশনের পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। তাই জটিলতা যাতে না বাড়ে, তার জন্য আপাতত সংস্থার শাখাগুলিকে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: BJP: ‘কেউ চিরস্থায়ী নন, দল এক বহমান নদী’, বার্তা সন্তোষের, পুরভোটের আগে তারুণ্যের ঝাঁঝ চায় বিজেপি