BJP: ‘কেউ চিরস্থায়ী নন, দল এক বহমান নদী’, বার্তা সন্তোষের, পুরভোটের আগে তারুণ্যের ঝাঁঝ চায় বিজেপি
BJP Meeting: এবার যুব মের্চার সভাপতির বয়স ৩৫ বছরের বেশি হবে না। আবার মণ্ডল সভাপতির বয়সও ৪৫ -এর বেশি নয়।
কলকাতা: প্রথমে একুশের ভোটে পর্যুদস্ত, তার পর কলকাতা পুরভোটে বড় হার বঙ্গ বিজেপির (BJP)। তার মধ্যে বিদ্রোহী মেজাজে একাধিক বিধায়ক ও নেতা ছাড়ছেন দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ। এই প্রেক্ষিতে সোমবার কলকাতার ভাষাভবনে ছিল বিজেপির রাজ্য পদাধিকারীদের বৈঠক। সেখানে উপস্থিত বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ নেতা ও কর্মীদের দিয়ে গেলেন ভোকাল টনিক। মনোবল ভেঙে নুইয়ে পড়া কর্মীদের চাগিয়ে তুলতে দিলেন তারুণ্যের উপর জোর।
বাংলার বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ ও নেতাদের উদ্দ্যেশ্যে বিএল সন্তোষ জানান, জেলাগুলির পুরভোটের আগে দ্রুত সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে। আর সেজন্য জোর দিতে হবে তারুণ্যের উপর। বিএল সন্তোষ জানান, এবার যুব মের্চার সভাপতির বয়স ৩৫ বছরের বেশি হবে না। আবার মণ্ডল সভাপতির বয়সও ৪৫ -এর বেশি নয়। আগামী বছরের ১০ জানুয়ারির আগে সব মোর্চা ও জেলা কমিটির পদাধিকারী চূড়ান্ত করে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি। তার পর ৩০ জানুয়ারির আগে সব মণ্ডলের কমিটি ও পদাধিকারী চূড়ান্ত নাম ঘোষণা করতে হবে।
কর্মসূচিতে চমক:
সামনেই নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী। তাই রাজ্যজুড়ে বিশেষ ভাবে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন করবে বিজেপি। তার পর রয়েছে ঋষি অরবিন্দের ১৫০ তম জন্মজয়ন্তী। এর পর বিজয় দিবস, আজাদিকা অম্রুত মহোৎসব- সবই ভাল করে পালন করতে হবে।
বঙ্গ বিজেপি ব্রিগেডকে চাঙ্গা করতে ভোকাল টনিক:
দলে বিদ্রোহ দেখা দিচ্ছে। যদিও প্রকাশ্যে তা মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। তবে এদিন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএল সন্তোষ বলেন, “আমরা লম্বা সময়ের জন্য এসেছি। রাজ্যে আমরা ক্ষমতায় আসবই। আপনারা নিশ্চিত থাকুন। সংযম ও পার্টির অনুশাসন মেনে চলতে হবে।”
তিনি বলেন, “তৃণমূলের থেকে আমরা ভিন্ন। আমরা কমিউনিস্ট অথবা রাইট উইং এক্সট্রিমিস্ট নই, আবার তৃণমূল বা কংগ্রেসের মতো নই। আমরা রাষ্ট্রবাদী।” যোগ করেন, “তৃণমূলের গুন্ডা সংস্কৃতিকে বিজেপিতে আমদানি করা যাবে না। আমাদের সংযম দেখাতে হবে। আমাদের সকলকে গ্রহণ করতে হবে”।
আবার দলের বিধায়ক ও সাংসদদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, “সংগঠনে যাঁরা আছেন তাঁদের সম্মান দিতে হবে”। ভোট নিয়ে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডের তুলনা টেনে জানান, এসব রাজ্যে যেখানে লোকসভায় ভাল ফল হয়েছে পরে বিধানসভায় বিজেপির ভোট কমেছে। তবে বাংলায় তা অনেকটাই ধরে রাখা গিয়েছে। তাই ভেঙে পড়া চলবে না।
আবার বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) মনে করিয়ে দেন, “দলের কোনও পদে কেউ চিরস্থায়ী নন। দল একটা বহমান নদীর মত। পরিবর্তন হতেই থাকে।” বৈঠকে অমিত মালব্য বলেন, “ভয় পেলে চলবে না। ভয়ে গুটিয়ে বসে থাকলে হবে না। সংঘর্ষ করতে হবে। এমন সংগঠন চাই, যাদের দেখে পুলিশ প্রশাসন ভয় পায়।”