‘গণতন্ত্র কোথায়! সারাদেশে না খুঁজে নিজের রাজ্যে দেখুন’, ‘অহঙ্কারী’ তৃণমূলকে তোপ দিলীপের

Dilip Ghosh: মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে  শহিদ সম্মান কর্মসূচি পালনে তত্‍পর বিজেপি। সেই কর্মসূচিতেই শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ-সহ মোট ৩০ জন কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। আটক হয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

'গণতন্ত্র কোথায়! সারাদেশে না খুঁজে নিজের রাজ্যে দেখুন', 'অহঙ্কারী' তৃণমূলকে তোপ দিলীপের
আদি নেতাদের গুরুত্ব দিতে তত্‍পর পদ্ম শিবির, ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2021 | 6:34 PM

কলকাতা:  গেরুয়া শিবিরের কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা দেওয়ার অভিযোগে সরব বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। ক্ষমতার অহংকারে ভুগছে তৃণমূল বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা। সোমবারই, কলকাতায় বিজেপির কর্মসূচি থেকে আটক করা হয় দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের। মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে  শহিদ সম্মান কর্মসূচি পালনে তত্‍পর বিজেপি। সেই কর্মসূচিতেই শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ-সহ মোট ৩০ জন কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। আটক হয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। এদিন তিনি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে বলেন, “রাজ্য বিজেপির সদর দফতর ঘিরে রেখেছে পুলিশ। অফিসে চাইলে যেতে পারছি না। এর নাম কি গণতন্ত্র? ক্ষমতার অহঙ্কারে ভুগছে তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গে কবে বিরোধী নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে! ঐতিহাসিক কাজ করছে তৃণমূল। সংসদ মানছে না, আইন মানছে না। এখানে গণতন্ত্র কোথায়? আমি আমার রাজ্য়ের শহিদ পরিবারের সঙ্গে গিয়ে দেখা করতে পারব না! এটা কি গণতন্ত্র?”

ত্রিপুরায় ‘আক্রান্ত’ হওয়ার ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। ‘আইনের শাসন নয়, শাসনের আইন’ চলছে বলে অভিযোগ করেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পাল্টা রাজ্য় বিজেপির সভাপতি (Dilip Ghosh) বলেন, “সারা দেশে যাঁরা গণতন্ত্র খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তাঁরা কি নিজেদের রাজ্য়ের অবস্থা দেখতে পাচ্ছেন না। এখানে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণতন্ত্রকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।”

প্রসঙ্গত, শহিদ সম্মান কর্মসূচিতে গিয়ে গ্রেফতার হন জয়প্রকাশ মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর। গ্রেফতার হওয়ার পর, ‘রাজ্যে তালিবানি শাসন চলছে’ বলে তোপ দাগেন শান্তনু। অন্যদিকে জয়প্রকাশ বলেন, “সাধারণ মানুষ সাধারণভাবে কোনও কাজ করতে পারবে না। তাহলেই এইভাবে গ্রেফতার করা হবে। এটাই তৃণমূলের নীতি।” উল্লেখ্য, সারা দেশে বিজেপি যে জন আশীর্বাদ যাত্রার আয়োজন করেছে, বাংলায় সেটাই গেরুয়া শিবির শহিদ সম্মান যাত্রা হিসেবে পালন করছে। এই যাত্রায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নির্বাচিত এ রাজ্যের মন্ত্রীরা গেরুয়া শিবিরের আক্রান্ত ও মৃত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে তাঁদের বাড়ি যান। বিজেপি অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসায় এ রাজ্যে ৪০ জনের বেশি বিজেপি কর্মী শহিদ হয়েছেন। বহু কর্মী এখনও ঘরছাড়া, ভিন রাজ্যে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। সেই কারণেই এই শহিদ সম্মান যাত্রা হবে। আরও পড়ুন: অজন্তার কলমে ‘খাঁড়া’! ৩ মাসের জন্য অনিল-কন্যাকে সাসপেন্ড করল সিপিএম