Body Recovery: ২৪ ঘণ্টা ধরে বাড়িতেই পড়ে বৃদ্ধের দেহ, কাউকে খবরই দিতে পারলেন না স্ত্রী
Behala Death: বৃদ্ধের স্ত্রী মালা চক্রবর্তীর দাবি, তাঁর স্বামী গতকাল রাতেই মারা গিয়েছেন। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও দেহ বাড়িতেই পড়ে ছিল। দেহ সৎকারের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।
![Body Recovery: ২৪ ঘণ্টা ধরে বাড়িতেই পড়ে বৃদ্ধের দেহ, কাউকে খবরই দিতে পারলেন না স্ত্রী Body Recovery: ২৪ ঘণ্টা ধরে বাড়িতেই পড়ে বৃদ্ধের দেহ, কাউকে খবরই দিতে পারলেন না স্ত্রী](https://images.tv9bangla.com/wp-content/uploads/2023/09/Wife-of-Died-Person.jpg?w=1280)
কলকাতা: মৃত স্বামীর দেহ আগলে বসে ছিলেন স্ত্রী। শনিবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা। ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার শিশির বাগান এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম শঙ্কর চক্রবর্তী (৮০)। বৃদ্ধের স্ত্রী মালা চক্রবর্তীর দাবি, তাঁর স্বামী গতকাল রাতেই মারা গিয়েছেন। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও দেহ বাড়িতেই পড়ে ছিল। দেহ সৎকারের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। যদিও মহিলার বক্তব্য, তাঁর কাছে কোনও মোবাইল ফোন নেই। তিনি এলাকায় কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু কারও থেকেই কোনও সাহায্য মেলেনি বলে দাবি। ফলে শুক্রবার থেকে দেহ পড়ে থাকে ঘরের ভিতরেই।
শেষে আজ সকালে বেহালা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। শিশির বাগানের ওই বাড়ি থেকে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কী কারণে বৃদ্ধের মৃত্যু হল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। এদিকে মৃত বৃদ্ধের স্ত্রী মালা চক্রবর্তীর দাবি, শঙ্করবাবু একাধিক শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সুগার, রক্তচাপের সমস্যা ছিল। হার্ট, ফুসফুস, কিডনির সমস্যাতেও বৃদ্ধ ভুগছিলেন বলে দাবি স্ত্রীর। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা ছিল তাঁর। ডাক্তারবাবু অপারেশন করতে বলেছিল, কিন্তু স্বামী তাতে রাজি ছিলেন না বলে দাবি করা হচ্ছে। বৃদ্ধের স্ত্রী বলছেন, তাঁর স্বামীর খাওয়া-দাওয়ায় অনেক বিধি নিষেধ ছিল। কিন্তু তিনি সেসব কিছুই মানতেন না। এরপর গতকাল বাড়িতেই মৃত্যু হয় স্বামীর।
মৃতের স্ত্রীর আরও দাবি, তাঁর শ্বশুরমশাই মিথ্যা কথা বলে স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিয়েছিলেন। বিয়ের আগে জানতেন, স্বামী ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু বিয়ের পর জানতে পারেন, স্বামী ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেননি, দাবি শঙ্করবাবুর স্ত্রী মালা চক্রবর্তীর। বাড়ির পাঁচটি মোবাইল ফোনও বৃদ্ধ ভেঙে ফেলেছিল বলে দাবি তাঁর। মহিলার বক্তব্য, সেই কারণেই তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। যদিও গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন বেহালা থানার পুলিশকর্মীরা।