কলকাতা: শিবরামপুরে বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার প্রাক্তন সরকারি কর্মচারীর দেহ (Body Recovery)। মৃত ওই ব্যক্তির নাম অমলেন্দু দত্ত। বাষট্টি বছর বয়সি ওই প্রৌঢ়ের বাড়ি কালীতলা (Kalitala) আশুতি থানার অন্তর্গত শিবরামপুর সোনামুখী এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, অমলেন্দু বাবুর বিবাহিত হলেও তাঁর কোনও সন্তান ছিল না। প্রায় বছর দুয়েক আগে স্ত্রী চলে গিয়েছিলেন বাপের বাড়ি। সেই থেকে বাড়িতে একাই থাকতেন অমলেন্দুবাবু। বাড়িতে এক ব্যক্তি খাবার ডেলিভারি দিতে আসতেন। শুক্রবার ওই ব্যক্তি যখন খাবার দিতে আসেন, সেই সময় বেশ কয়েকবার ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পান না। এরপর তিনি দেখতে পান, নিজের ঘরের ভিতরেই পড়ে রয়েছেন অমলেন্দুবাবু।
অমলেন্দুবাবু ঘরের মধ্যে যেভাবে পড়ে ছিলেন, তা দেখে মৃত বলে সন্দেহ হয় ওই ডেলিভারি বয়ের। তড়িঘড়ি তিনি খবর দেন প্রতিবেশীদের। জানান, নিজের আশঙ্কার কথা। প্রতিবেশীরা এসে এরপর কালিতলা আশুতি থানায় খবর পাঠান। ঘটনার কথা জানতে পেরেই পুলিশকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ওই বাড়ি থেকে প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কী কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁর কোনও শারীরিক অসুস্থতা ছিল কি না, সেই বিষয়টিও এখনও স্পষ্ট নয়।
এক স্থানীয় বাসিন্দা জানাচ্ছেন, করোনার সময় ওই প্রৌঢ়ের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। স্ট্রোক হয়েছিল। তারপর থেকে অমলেন্দুবাবুর স্ত্রী বাপের বাড়িতেই রয়েছেন। মাঝে একবার এসেছিলেন বাড়ি। কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন, সেই সময় অমলেন্দুবাবু তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি। সেই থেকে একাই থাকছিলেন প্রৌঢ়। এদিকে মৃত্যুর কথা জানাজানি হতে স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশে খবর দেন এবং তারপর পুলিশ এসে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কী কারণে ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধন্ধে পুলিশও।