AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Byron Biswas : বাইরনের ক্ষমা চাওয়া উচিত, গালি বিতর্কে বললেন অধীর

Byron Biswas : মার্চের ২ তারিখ ভোটে জিতলেও বাইরনের শপথগ্রহণে বিলম্ব নিয়েও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় অধীরকে। ক্ষোভ প্রকাশ করেন শাসকের বিরুদ্ধেও।

Byron Biswas : বাইরনের ক্ষমা চাওয়া উচিত, গালি বিতর্কে বললেন অধীর
‘খিস্তি-খেউরের রাজনীতির জনক তৃণমূল’, বাইরনকে ক্ষমা চাইতে বলেও তোপ অধীরের
| Edited By: | Updated on: Mar 22, 2023 | 4:32 PM
Share

নয়া দিল্লি : তাঁকে আধার করেই নতুন করে দিনবদলের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বাম-কংগ্রেস (CPIM-Congress)। সাগরদিঘিতে (Sagardighi Election) তাঁর জয়, শাসকের পরাজয়, উল্টেপাল্টে দিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিক সাম্প্রতিক সমীকরণ। সেই সাগরদিঘির বিধায়কের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেছেন সঞ্জয় জৈন নামে সামসেরগঞ্জের এক তৃণমূল নেতা। তাঁর অভিযোগ, ফোনে তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিয়েছেন বাইরন (Byron Biswas)। এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে শোরগোল বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। এবার তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কংগ্রেসের টিকিটিই সাগরদিঘিতে প্রায় ২৫ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন বাইরন। অধীরের এই ‘নির্দেশ’ শপথগ্রহণের দিন বাইরনের অস্বস্তি নতুন করে বাড়াবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 

অন্যদিকে এদিন শপথগ্রহণ করেন বাইরন বিশ্বাস। মার্চের ২ তারিখ ভোটে জিতলেও তাঁর শপথগ্রহণে বিলম্ব নিয়েও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় অধীরকে। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “বাইরন বিশ্বাসের বিধায়ক পদের শপথগ্রহণ এত দেরিতে হওয়া আমাদের সকলের কাছে খুব দুর্ভাগ্যের। ২ তারিখে সে নির্বাচিত হয়েছে। শংসাপত্রও পেয়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। আজ ২২ তারিখ তাঁর শপথগ্রহণ হচ্ছে। এতদিন ধরে স্পিকারের কাছে থেকে বিলম্বের কারণ জানতে চেয়েছি। স্পিকার তো বলেই দিলেন বাইরন বিশ্বাস তৃণমূল করতে চেয়েছে বা তৃণমূল করে। সর্বত্র বাইরন বিশ্বাসকে নিয়ে নানা জল্পনা ছড়াচ্ছে।” 

এরপরই বাইরনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে অধীর বলেন, “তৃণমূল তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করার দাবি করেছে। ইতিমধ্যেই সামশেরগঞ্জ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হয়ে গিয়েছে। যদি মনে করে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে। যদি তাঁর অপরাধ গ্রেফতার যোগ্য অপরাধ হয় তাহলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তার জন্য আমরা ভয় পাই না। যদি অডিও রেকর্ডিং বাইরন বিশ্বাসের হয় আমি তার জন্য চরম নিন্দা করব। চরম ভর্ৎসনা করব। জ্ঞানে-অজ্ঞানে বাইরন বিশ্বাস যদি এই মন্তব্য করে থাকে তাহলে আমি বলব ওকে সর্বসমক্ষে ক্ষমা চেয়ে নিতে। কংগ্রেস দলে কখনও কারও বিরুদ্ধে গালিগালাজকে আমরা প্রশ্রয় দিতে পারি না।” তবে তৃণমূলের থেকে এ বিষয়ে কোনও জ্ঞান শুনতে নারাজ অধীর। শাসক শিবিরকে এক হাত নিয়ে অধীর বলেন, “এটা তৃণমূল নয়, এটা কংগ্রেস। যদি বাইরন এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ওকে ক্ষমা চাইতে হবে। সেটা আমরা ওকে বলব। কারণ রাজনীতিতে আমরা সভ্যতা-ভদ্রতা রক্ষা করে চলি। তবে তৃণমূলের কাছ থেকে যত কম জ্ঞান আসে ততই ভাল। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে খিস্তি-খেউরের রাজনীতির জনক তৃণমল এটা সবাই জানে।”