Calcutta High Court on JU: কোনও রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে মিটিং করা যাবে না JU-তে, নির্দেশ হাইকোর্টের, ব্রাত্যকে নিয়েও উঠল প্রশ্ন
Jadavpur University: প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীর আবেদন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। প্রতি গেটে রাজ্য পুলিশ দেওয়া হোক। স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হোক আর্জি ছিল।

যাদবপুর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা গুরুত্বপূর্ণ কাউকে নিয়ে কোনও সেমিনার, মিটিং করা যাবে না নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের প্রশ্ন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয় জানার পরও কেন রাজনৈতিক নেতা সেখানে যাওয়ার আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন? এর প্রভাব পড়তে পারে জেনেও তিনি কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন ?” বিষয়টি স্পষ্ট নয় আদালতের কাছে বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীর আবেদন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। প্রতি গেটে রাজ্য পুলিশ দেওয়া হোক। স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হোক আর্জি ছিল।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যাদবপুরে গুণ্ডা রাজ চলছে। ২০১৪-এর পর শ্লীলতাহানির মামলা রুজু হয়েছিল। একাধিক এফআইআর (FIR) হয়। কিছু সময় বশ মানে না এমন ঘোড়া ছুটে বেড়াচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। যা নির্দেশ দেবেন মাথা পেতে নেব। শুধু শান্তি চাই। ইউনিভার্সিটি কিছু করছে না। আমারা নিরুপায়।”
এ দিন আদালতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন , “বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীদের কোনও ক্ষমতা থাকে না। তাঁদের হাতে কোনও অস্ত্র থাকে না। কেন আপনারা রাজ্যের পুলিশের সাহায্য নিতে চান না?” উত্তরে বিশ্ব বিদ্যালয়ের আইনজীবী রিজু ঘোষাল বলেন, “আমরা চিঠি লিখেছি। উচ্চ শিক্ষা দফতরকে টাকার বিষয়ে জানানো হয়েছে।”
এরপরই প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, “বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করুন। রাজনৈতিক রঙ বাদ দিন। কেন এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছিল সেটায় নজর দিন। উপাচার্য সহ বাকিদের ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। তাঁরা চাইলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হবে। প্রথমে যাঁরা ছাত্র নয়, তাঁদের বের করতে হবে।” তিন সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি।





