Calcutta High Court: ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন ও নেত্রার ঘটনায় কেস ডায়েরি পেশের নির্দেশ হাইকোর্টের
Calcutta High Court: ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন এবং নেত্রায় নির্যাতনের অভিযোগের কেস ডাইরি ও তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
কলকাতা : ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন ও নেত্রায় নির্যাতনের অভিযোগের কেস ডাইরি এবং তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনায় কার্যত মুখ পুড়ছে রাজ্যের। প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। রেহাই পাচ্ছে না নাবালিকারাও। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা আইপিএস দময়ন্তী সেনের তত্ত্বাবধানে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাঁসখালির ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের উপর। এরই মধ্যে রাজ্যের তিনটি ধর্ষণের ঘটনায় কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠাল হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, ময়নাগুড়িতে অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে ধর্ষণের চেষ্টার পর খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পরে ওই নাবালিকা গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। ১২ দিনের যমে মানুষে টানাটানির পর সোমবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার। নাবালিকার শোকবিহ্বল বাবা এখন চান, ঘটনার তদন্ত করুক সিবিআই। অন্যদিকে শান্তিনিকেতনেও এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এক নাবালকের সঙ্গে চড়কের মেলায় গিয়েছিলেন নাবালিকা। সেখান থেকে ফেরার সময়ই তাদের উপর চড়াও হয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। পাঁচজন দুষ্কৃতী প্রথমে ওই নাবালককে মারধর করে। এরপর নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায় নদীর ফাঁকা চরে। সেখানেই ওই আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা সাম্প্রতিককালে প্রকাশ্যে এসেছে। বিরোধীদের কড়া আক্রমণের মুখোমুখি হতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। সম্প্রতি হাঁসখালির ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে ঘিরে জোর বিতর্ক ছড়িয়েছিল। নির্যাতিতার সঙ্গে অভিযুক্তের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, এমন একটি তত্ত্ব তুলে ধরার চেষ্টা দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। তারপর থেকে রাজ্যের অস্বস্তি আরও বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের পর ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নামতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের একাধিক প্রথম সারির নেতাকে। এমনই এক পরিস্থিতিতে ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন এবং নেত্রায় নির্যাতনের অভিযোগের কেস ডাইরি ও তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন : Meghalaya TMC MLA: কংগ্রেসে ফিরতে পারেন ১২ তৃণমূল বিধায়ক, জল্পনা সত্যি হলে ঝুলি ‘শূন্য’ জোড়া ফুলের