কলকাতা : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) তরফে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পরীক্ষা নেওয়া হবে অফলাইনেই। তারপরও পড়ুয়াদের একাংশ অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে নিজেদের প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালেয়র এই অনলাইন-অফলাইন বিতর্কের মধ্যেই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। কেন সিলেবাস না শেষ করেই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এরই মধ্যে আরও একধাপ এগোল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রকাশ করা হয়েছে দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টারের পরীক্ষার রুটিন। কয়েকদিন আগেই ষষ্ঠ সেমেস্টারের রুটিন প্রকাশিত হয়েছিল। দীর্ঘ টালবাহানা এবং প্রতিবাদের পরও অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
উল্লেখ্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা বিভিন্ন কলেজগুলির সঙ্গে গত মাসে বৈঠকে বসেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের সিংহভাগই অফলাইন পরীক্ষার পক্ষে মত দিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিংয়ের পর সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে। স্থির হয়, পরীক্ষা হবে অফলাইন মাধ্যমেই। প্রয়োজনে বিশেষ ক্লাস করানোর কথাও বলা হয়। এদিকে গতকালই (শুক্রবার) আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন। সেখানে মামলাকারী আবেদন জানিয়েছেন, সিলেবাস শেষ করে পড়ুয়াদের সময় দিয়ে, তারপর অফলাইন মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হোক।
করোনা কালে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনা হয়েছে অনলাইনেই। পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছে অনলাইনে। কিন্তু এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই আবার ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে পড়াশোনা। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় অফলাইন মাধ্যমে পরীক্ষার পথে এগোচ্ছে। আর তাতেই পড়ুয়াদের একাংশ প্রতিবাদে সামিল। অফলাইনে পরীক্ষা দিতে নারাজ তারা। উল্লেখ্য, পড়ুয়ারা আবার নিজেদের দাবির সমর্থনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাও তুলে ধরেছে, যেখানে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। সেই তালিকায় রয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। আবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইব্রিড মোডে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এই বিতর্কের মধ্যেই এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টারের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।