Cattle Smuggling Case: সিবিআই তদন্ত করছে, গরু পাচার মামলায় সিআইডি তদন্তের যথার্থ সময় এটা নয়, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
CID: গত কয়েক মাসে তদন্তের ময়দানে সক্রিয় সিআইডিও। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থেকে এনামুল ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত জেনারুল শেখকে গ্রেফতার করেছে তারা।
কলকাতা: ইডি, সিবিআইয়ের পাশাপাশি গরু পাচার মামলায় তেড়েফুঁড়ে নেমেছে সিআইডি। গরু পাচার মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। আপাতত তদন্ত করতে পারবে না সিআইডি (CID)। এটা সিআইডি তদন্তের জন্য যথার্থ সময় নয়, পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। সিবিআইয়ের তদন্তে কোনওরকম ব্যাঘাত নয়, নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দিষ্ট একটি মামলার প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়েছে, রাজ্যের বক্তব্য জানাতে হবে। হলফনামা আকারে সকলে তাদের বক্তব্য জানাক। তিন সপ্তাহ তার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। আর সেই হলফনামা যতক্ষণ না আসছে, ততক্ষণ সিবিআই যেখানে তদন্ত করছে সেখানে সিআইডির তদন্ত করা যথাযথ নয় বলেই পর্যবেক্ষণ আদালতের। তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে। এরপর এক সপ্তাহ ‘এফিডেভিট ইন রিপ্লাই’।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, রাজ্য পুলিশ এজেন্সি বা সিআইডি সম্পূর্ণ পৃথক বিষয়ে একটি এফআইআর করে। একটি গরু পাচার ঘটনা ছিল। এতদিন পর কেন জনস্বার্থ মামলা প্রশ্ন তোলে তারা। সিবিআইয়ের বক্তব্য ছিল, এই ইস্যুটি একটি আন্তর্জাতিক গরু পাচার মামলার অংশ। সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ার ২ বছর পর সিআইডি তদন্ত করতে চেয়ে আর্জি জানাচ্ছে। এটা ‘ওভারল্যাপিং’ ইস্যু।
মূলত একটি জনস্বার্থ মামলা। সুমনশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি তা দায়ের করেন। সেখানে বলা হয়েছিল, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ২০ হাজার গরু বিএসএফ আটক করে। যেগুলি অনেক সময় বাংলাদেশে চলে যাচ্ছিল। এমনও অভিযোগ ছিল, এই পাচারকাণ্ডে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জড়িয়ে। এমনকী শাসকদলের নেতার নামও অভিযোগের খাতায় রয়েছে বলে আদালতে মামলাকারী জানান। মামলাকারী জানিয়েছিলেন, সিবিআই এফআইআর করে। তদন্ত বন্ধের কোন নির্দেশ পায়নি।
সম্প্রতি জিতেন তিওয়ারির ক্ষেত্রে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একই নির্দেশ ছিল। একই অভিযোগে ভিন্ন সংস্থা তদন্ত করবে না। গরু পাচার মামলা নিয়ে তৎপর ইডি, সিবিআই। পরপর এনামুল হক, সায়গল হোসেন, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছেন। অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই, অন্যদিকে ইডির হেফাজতে এনামুল এখন তিহাড় জেলে। ইডি সায়গলকে জেরা করার অনুমতিও পেয়েছে। এই অবস্থায় গত কয়েক মাসে তদন্তের ময়দানে সক্রিয় সিআইডিও।
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থেকে এনামুল ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত জেনারুল শেখকে গ্রেফতার করেছে তারা। সঞ্জয় মালিক নামে আরও একজনও সিআইডির হাতে ধরা পড়ে। মাস কয়েক হল ২০১৮ ও ২০১৯ সালের মুর্শিদাবাদের সুতি, জঙ্গিপুরের বেশ কয়েকটি মামলা হাতে নিয়েছে সিআইডি।