কলকাতা: পরীক্ষার দিন কলেজে দাপুটে TMCP ছাত্রনেতার জন্মদিন সেলিব্রেশনে। অথচ সেই ছাত্র নেতার কলেজে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে একেবারে হাইকোর্টে। অভিযোগ, তারপরও বহাল তবিয়তে কলেজে যাতায়াত চলছে ওই ছাত্র নেতার। প্রশ্নের মুখে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন। এদিন রীতিমতো প্যান্ডেল করে, স্পিকার বাজিয়ে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে TMCP ছাত্রনেতার জন্মদিন পালনের ছবি দেখা যায়। তাতেই বিতর্ক শিক্ষা মহলের অন্দরে। পরীক্ষার দিন ব্যানার টাঙিয়ে মহম্মদ সাব্বির আলির জন্মদিন পালন হচ্ছে কলেজে। হাইকোর্টের নির্দেশে সাব্বির আলির কলেজে প্রবেশে বাধা থাকলেও বারবার কলেজে প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে। এদিন তাঁরই জন্মদিন পালন হল মহা ধুমধামের সঙ্গে। তাতে বিরক্ত খোদ অধ্যক্ষ। সূত্রের খবর, গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
কলেজের এক ছাত্র বলছেন, যখন আমি দুর্নীতি মামলায় আওয়াজ তুলেছিলাম তখন উনি আমাকে বারবার ডেথ থ্রেট দিয়েছিলেন। কোর্টের অর্ডার আছে ওদের ৫ জনকে যেন ৬ মাস কলেজের ত্রিসীমানায় না দেখা যায়। তারমধ্যে ওরা রোজই কলেজে ঢুকছে। সব কিছু করছে। কলেজের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন তো জন্মদিনও পালন হচ্ছে।
এদিকে যে জায়গায় জন্মদিন পালন হচ্ছিল সেখানেও পৌঁছেছিল টিভি-৯ বাংলার ক্যামেরা। সাব্বিরের অনুগামীদের হাতে তাঁর ছবিও দেখা যায়। কিন্তু, কেন কোর্টের নির্দেশ না মেনে, কলেজের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও এভাবে জন্মদিন পালন করা হচ্ছিল সেই প্রশ্ন করা হলে সাব্বিরের এক অনুগামীকে রীতিমতো পালাতে দেখা যায়। কেন পালাচ্ছেন প্রশ্ন করাতেই এক ছাত্রীর উত্তর, “পালাইনি। আমরা কিছু বলতে চাই না।” একজন তো আবার হাতে থাকা ছবি ক্যামেরা দেখেই লুকিয়ে ফেললেন। পাশ থেকে তখন আরও একজন বলে উঠলেন, মিডিয়ায় কেউ কিচ্ছু বলবি না। গোটা চিত্র দেখে তিতিবিরক্ত যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়ও। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারছি না এটা কী হচ্ছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। সিপিকে জানিয়েছি। ই-মেল করেছি। এটা বাংলা তো ছার, গোটা ভারতবর্ষে কোথাও হয় কি না আমার জানা নেই।