কলকাতা: শহরে আয়োজিত হতে চলেছে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের এক বড় সমাবেশ। ছোট থেকে বড় সব ইমাম সংগঠনের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। সরাসরি আয়োজক না হলেও রাজ্যের বেশ কয়েকজন নেতা-মন্ত্রী সেই সমাবেশ নিয়ে বেশ তৎপর। সমাবেশ সফল করতে বৈঠক সেরে ফেলেছেন মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শুধু তাই নয়, সেই সমাবেশের প্রধান অতিথির আসনে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠান নিয়ে বেড়েছে জল্পনা। ইমামদের সমাবেশ ঘিরে শাসক দলের নেতাদের কেন এত উৎসাহ? লোকসভা নির্বাচনের আগে এই সমাবেশ কি অন্য কোনও সমীকরণের কথা বলছে?
আগামী ২১ অগস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সেই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজক অল বেঙ্গল ইমাম মুয়াজ্জিন অ্যাসোসিয়েশন। অনুষ্ঠান কীভাবে সফল করা যায়, তা নিয়ে সম্প্রতি টাউন হলে একটি বৈঠক করেছেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আর এক মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীও। এই সমাবেশের পিছনে থাকছেন মন্ত্রী জাভেদ খান ও তৃণমূল নেতা খলিলুর রহমানও। সব মিলিয়ে ২০ হাজারের বেশি মানুষের সমাবেশ হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। আজ, বৃহস্পতিবার ইমামরা একটি সাংবাদিক সংগঠনের আয়োজন করেছিলেন। এই অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে রয়েছেন ৬৫ হাজার ইমাম, যাঁরা ভাতা পান। এছাড়াও ১০ হাজার ইমাম রয়েছেন রাজ্যে, যাঁরা ভাতা পান না বা ভাতা নেন না।
শাসক দলের পৃষ্ঠপোষকতাতেই কি সংগঠিত হচ্ছে এই সমাবেশ? এই নিয়েই চর্চা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর ইমামদের জন্য ভাতা ঘোষণা করেছিলেন। বিরোধীরা সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই ইমামদের সমাবেশে তাঁর উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
২০১১ সালে তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার পিছনে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন অনেকে। পরে অনেক সমীকরণ বদলেছে। রাজ্যে সক্রিয় হয়েছে নতুন রাজনৈতিক দল আইএসএফ। সম্প্রতি সাগরদিঘির উপনির্বাচনে বাইরন বিশ্বাসের জয়ে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রে তৃণমূলের পরাজয় ছিল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এবার সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে শান দিতেই কি তৃণমূলের পৃষ্ঠপোষকতায় এই আয়োজন?