Corona New Variant: ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্টে কতটা ঝুঁকি ভারতের, কোন অস্ত্রেই বা ঘায়েল সম্ভব… কী বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা
Covid19: ইতিমধ্যেই গোটা দেশ কোভিডের তৃতীয় ঢেউ দেখেছে। আর সেই ঢেউয়ে বড় হাত যে ওমিক্রনের ছিলই, তা স্বীকার করেছেন বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ।
কলকাতা: যে কোনও সময় ভয়াবহ রূপ নিতে পারে ওমিক্রনের বিএ-টু (BA-2) ভ্যারিয়েন্ট। সেক্ষেত্রে ভারতেও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ইতিমধ্যেই একদিনে ৬ লক্ষের বেশি সংক্রমণ গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ব্রিটেন-সহ ইউরোপের বহু দেশ প্রমাদ গুনছে। তবে ভারতীয় চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এখনই এদেশে বিএ-টু সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা কম। অর্থাৎ এখনও এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, যা দেখে উদ্বেগে ভুগতে হবে।
ওমিক্রনেরই সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ-টু। ইতিমধ্যেই গোটা দেশ কোভিডের তৃতীয় ঢেউ দেখেছে। আর সেই ঢেউয়ে বড় হাত যে ওমিক্রনের ছিলই, তা স্বীকার করেছেন বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। তবে সংক্রমণের দুই ঢেউয়ের মাঝে যে ‘বাফারিং পিরিয়ড’ তা এখনও খুব বেশি হয়নি। অর্থাৎ তিন মাস বা তার কিছু বেশি সময় হল, ভারত ওমিক্রনের তৃতীয় ঢেউ কাটিয়ে উঠেছে। ফলে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক বিশেষজ্ঞদের কাছে।
অন্যদিকে, টিকাকরণও আশার আলো দেখাচ্ছে। আমাদের দেশে যে পরিমাণ টিকাকরণ হয়েছে, তাতে অনেকটাই স্বস্তির ছবি দেখা যাচ্ছে বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বুস্টার ডোজ়ও ইতিমধ্যেই শুরু করা গিয়েছে। তবে চিকিৎসকরা এখনও একটা বিষয়েই বারবার জোর দিচ্ছেন —স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। মাস্ক পরা অত্যাবশ্যক। একইসঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার, বারবার হাত পরিষ্কার করতে হবে। কোনওরকম ভিড় বা জমায়েতে গেলে এগুলি মানতেই হবে বলছেন চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে যাঁরা এই মুহূর্তে বুস্টার ডোজ় বা প্রিকশনারি ডোজ় নেওয়ার যোগ্য, তাঁদের সেই ডোজ় অবশ্যই নিতে বলা হচ্ছে।
চিকিৎসক শুভ্রজ্যোতি ভৌমিকের কথায়, “বিএ-টু ভ্যারিয়েন্ট খুবই সংক্রামক। সংক্রমণ ক্ষমতা বি ওয়ানের থেকে অনেক বেশি। ইদানিং দেখা যাচ্ছে মানুষের মাস্ক না পরা বা স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে ঢিলেমি কাজ করছে। সেটা কিন্তু করা ঠিক হবে না। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে। বারবার করে তারা বলছে, টেস্টিং কোনওভাবেই কমানো যাবে না। কোভিড অ্যাপ্রোপিয়েট বিহেভিয়ারটাও মেনে চলতেই হবে। ভুললে চলবে না, এখনও আমরা কোভিড যুদ্ধেই আছি। মুক্ত হয়নি।”
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দলুই বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি এই ধরনের ভাইরাস কিন্তু বারবার রূপ বদলে ফেরে। এসে কিন্তু অতিমারির একেকটা ঢেউকে ডেকে আনে। এই মিউটেশনগুলোর কোনটা কতটা ভয়াবহ তার উপর পরেরটা নির্ভর করে। আর নতুন রূপে এসে সে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটা আগে বলাও সম্ভব নয়। তাই অস্ত্র কোভিড বিধি মানা আর টিকাকরণ।”
আরও পড়ুন: Sonarpur Case: দোল খেলতে বাড়িতে ডেকেছিলেন প্রেমিক, নেশার রং লাগতেই জঘন্য ঘটনা ঘটালেন তরুণীর সঙ্গে…