কলকাতা : ফের ফাটল ধরা পড়ল শহরের এক গুরুত্বপূর্ণ উড়ালপুলে। ইএম বাইপাস থেকে লেকটাউন যাওয়ার দিকে যে উড়ালপুল রয়েছে, তাতেই এই ফাটল চোখে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ব্রিজ থেকে নামার দিকে সংযোগস্থলের একটি পিলারে ফাটল দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি, গত কয়েকদিন ধরেই ব্রিজের পিলারের ওই ফাটল তাঁদের চোখে পড়ে। বুধবার সকাল থেকে ওই ফাটলকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। ২০১৯ সালে এই উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালে কাজও করেন ইঞ্জিনিয়াররা।
শঙ্কর তালুকদার নামে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে এই ফাটল দেখতে পাচ্ছি। খুবই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। আমরা প্রতিদিন যাতায়াত করি।’ আর এক বাসিন্দার দাবি, দেখে বোঝা যাচ্ছে, পুরো ব্রিজটা বসে যাচ্ছে। বছর কয়েক আগেও এই ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। ২০১৯ সালে ব্রিজ বন্ধ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল। তারপরও ফের এই অবস্থা হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষজন। ২০১০ সালে ম্যাকিন টস বার্ন নামে একটি সংস্থা এই উড়ালপুল তৈরি করেছিল।
বছর কয়েক আগে ইএম বাইপাসমুখী উল্টোডাঙা উড়ালপুলের একাংশ ভেঙে গিয়েছিল। লরি পড়ে গিয়েছিল নীচের খালে। তারপর থেকে দীর্ঘদিন ইএম বাইপাস মুখী উড়ালপুলটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। এবার লেকটাউনমুখী উড়ালপুলে ধরা পড়ল ফাটল।
২০১৯ সালের ৯ জুলাই উড়ালপুলের পিআর ক্যাপে বড়সড় ফাটল ধরা পড়েছিল। এরপরই সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কলকাতা পুলিশের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল।
এরপর ২০২১ সালে ১৮ নভেম্বর মাসে এই লেকটাউনমুখী উড়ালপুলে বেশ কিছু কাজ হয়। ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ব্রিজ বন্ধ রেখে কাজ করেছিল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ইঞ্জিনিয়াররা। সেই সময়ে উড়ালপুলের স্বাস্থ্য দুর্বল থাকায় চারটি অস্থায়ী লোহার পিলার বসানো হয়েছিল সেখানে। আর এবার লেকটাউনের দিকে নামার ঠিক ১০০ মিটার আগেই পিলারের দু দিকে ফাটল ধরা পড়ায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ফাটল বড়সড় নয়। আমরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। আমরা মনিটারিং করছি। অ্যাডভাইজরি কমিটির সঙ্গে কথা বলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ তবে বিপদের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই মন্তব্য করেছেন ওই আধিকারিক। তাঁর দাবি, উড়ালপুলের যে সংযোগস্থল থাকে, সেখানে এরকম ফাঁক থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে ফাঁকটা একটি বেশি হয়ে গিয়েছে। তাই বলে উড়ালপুল ভেঙে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।