Abhishek Banerjee : ‘অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে’, হাওড়ার অশান্তিতে বললেন অভিষেক
Abhishek Banerjee : “যাঁরা বাংলার শান্তি-শৃঙ্খলা-সভ্যতা নষ্ট করার জন্য নির্লজ্জভাবে রাস্তায় নেমে গাড়িতে আগুন জ্বালিয়েছে, ইট পাটকেল ছুড়েছে, এলাকা অশান্ত করেছে, মানুষের উপর অনৈতিকভাবে চড়াও হয়েছে তাঁদের একজনকেও ছাড়া হবে না।” সাংবাদিক বৈঠকে বললেন অভিষেক।
কলকাতা : প্রশাসনিক অনুমতি, পুলিশের নির্দেশিকা, হাইকোর্টের গাইড লাইন কিছুই মানা হয়নি। পুলিশি অনুমতির তোয়াক্কা না করেই করা হয়েছে মিছিল। হাওড়ার শিবপুরের অশান্তির পুরো দায়ই বিজেপির উপর চাপিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বলেন, “প্রশাসনের কোনও নির্দেশিকা না মেনে এরা প্রত্যেকটা জায়গায় যে মিছিল করেছে, মিটিং করেছে তা সবই বেআইনি। সরকার এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এখানেই না থেমে অভিষেক আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছেন, বরং আমরা এ বিষয়ে আশাবাদী। যাঁরা বাংলার শান্তি-শৃঙ্খলা-সভ্যতা নষ্ট করার জন্য নির্লজ্জভাবে রাস্তায় নেমে গাড়িতে আগুন জ্বালিয়েছে, ইট পাটকেল ছুড়েছে, এলাকা অশান্ত করেছে, মানুষের উপর অনৈতিকভাবে চড়াও হয়েছে তাঁদের একজনকেও ছাড়া হবে না।” অভিষেকের সাফ দাবি, “আমরা অপরাধীদের কোনও জাত-ধর্ম-বর্ণ দেখি না। যাঁরা ক্রিমিনাল, তাঁরা ক্রিমিনাল। এই ভিডিওতে যাঁদের দেখা গিয়েছে তাঁরা সকলে গ্রেফতার হবে। সুদীপ্ত সেন, জিতেন্দ্র তিওয়ারিদের কলার ধরে কাশ্মীর, নয়ডা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এরাও পালালে ধরা হবে। দোষীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।”
যদিও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, মিছিলের জন্য পুলিশ-প্রশাসনের থেকে বৈধ অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। তবে পিস্তল নিয়ে মিছিলে যাওয়াকে তিনি সমর্থন করেন না বলে জানিয়েছেন। এরপরই তিনি বলেন, “আমাদের লোক আগুন জ্বালানোর কাজ করে না। পিস্তল নিয়ে মিছিলে গেলে সমর্থন করি না। যার হাতে ছিল তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক রাজ্য সরকার, বিজেপির কোনও আপত্তি নেই। তবে উৎসব যেভাবে পালন করার কথা ছিল, সেভাবেই করেছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা বিবেকানন্দের আদর্শে উদ্বুদ্ধ। নিজের ধর্মে আস্থাশীল ও অন্যের ধর্মে শ্রদ্ধাশীল। রাম নামে জয়ধ্বনি করব, ভারত মাতার শ্লোগান দেব, ধ্বজ নিয়ে হাঁটব।”
এদিকে হাওড়ার শিবপুরের অশান্তির ঘটনায় ইতিমধ্যেই এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি। যা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন অভিষেক। পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “ভয়ে ওরা এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। একবার সিবিআই-এনআইএর কাছে চলে গেলে এরা আর ধরা পড়বে না। সে কারণেই এই দাবি করছে। প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতেই এই দাবি করা হচ্ছে। পুলিশের তরফে আগে থাকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল বলে আগেরবারে পারমিশন কপি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কিছুই পাঠানো হয়নি। আগেরবারও পারমিশন ছিল না।”
পাল্টা তোপ দেগেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘাসফুল শিবিরের দিকে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, “এর শেষ দেখে ছাড়ব। যে ভাবে মোমিনপুর, একবালপুরকে ঠান্ডা করেছি, ঠিক একইভাবে ওই এলাকাকেও ঠান্ডা করব। আইনিভাবে ঠান্ডা করব। কাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজ্যপালকে ইমেল করেছি।”