‘আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট ভাল নয়’ প্রশাসনকে কড়া বার্তা জৈনের
বৃহস্পতিবার পুলিস কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে কড়া বার্তা দিয়ে গিয়েছেন, ফুল বেঞ্চের সামনে এমন রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনে অফিসারকে সরিয়ে দিতেও তিনি দ্বিধা করবে না।
কলকাতা: ভোটের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কী অবস্থায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে দু’দিনের সফরে কলকাতায় এসেছিলেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন (Sudip Jain)। বৃহস্পতিবার ছিল সে সফরের দ্বিতীয় দিন। বুধবারের পর এদিনও পুলিস কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এদিনের আইন শৃঙ্খলার রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেন জৈন। সূত্রের খবর, খানিকটা গলা ভারী করেই বলেন, রিপোর্ট দেখে পক্ষপাতদুষ্ট মনে হচ্ছে। যেভাবে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে সেভাবে দেওয়া হয়নি। সঙ্গে কড়া বার্তা দেন, ফুল বেঞ্চের সামনে এমন রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনে অফিসারকে সরিয়েও দিতে পারে কমিশন। পাশাপাশি ভোটে কালো টাকার ব্যবহার রুখতেও কড়া কমিশন, এদিন সে বার্তাও দিয়ে যান সুদীপ জৈন।
বুধবার রাজ্যের সমস্ত পুলিস কমিশনার, পুলিসসুপার ও জেলাশাসকদের সঙ্গে প্রথম দফায় সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি-বৈঠক করেন সুদীপ জৈন। মূলত আইনশৃঙ্খলাই ছিল সেদিনের আলোচ্য বিষয়। বৈঠক নিয়ে যে তিনি সন্তুষ্ট নন, তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ফের বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আমি কাঁথির ভূমিপুত্র! ছিলাম, আছি, থাকব: শুভেন্দু
ভোটে যাতে কালো টাকা ব্যবহার না হয় তার জন্য হাওলার উপর বিশেষভাবে নজরদারি করতে বলেছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। তিনি এ দিন ইনকাম ট্যাক্স, এক্সাইজ, কাস্টমস’র নোডাল অফিসারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। টাকা লেনদেনের উপর বিশেষ নজরদারি এখন থেকেই শুরু করতে বলেছেন তিনি।
সকালে প্রথমে মহিলা, স্বাস্থ্য, নারীকল্যাণ দফতর ও শিক্ষা সচিবদের সঙ্গে কথা বলেন সুদীপ জৈন। এরপর আসেন স্বরাষ্ট্রসচিব। তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর আসেন পুলিস কর্তা। গত ১৭ তারিখ যখন রাজ্যে এসেছিলেন, এই পুলিস কর্তার কাছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট চেয়েছিলেন। কমিশন সূত্রে খবর, সেই রিপোর্টই এদিন হাতে নিয়ে পুলিস কর্তাকে কিছুটা ধমকের সুরেই বলেন, এ রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে পক্ষপাতদুষ্ট। আরও ভাল করে রিপোর্ট তৈরি করুন। ফুল বেঞ্চ আসার সম্ভাবনা রয়েছে এ মাসেই। তাদের কাছে এরকম রিপোর্ট পেশ করলে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে।