কলকাতা: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই লকেট তাঁর জেতা সিট হেরে গিয়েছে। রবিবারই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তা নিয়ে রাজনৈতিক অন্দরে কম জলঘোলা হয়নি। এবার এই নিয়ে প্রশ্ন করতে বিস্ফোরক বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। TV9 বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে দিলীপ নিজের সময়কালের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমি যতদিন সভাপতি ছিলাম, পার্টি হু হু করে বেড়েছে। ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছি। কেউ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বলেনি। আমি মনে করিনি, কোনও গোষ্ঠী রয়েছে দলের। আমি গোষ্ঠীর নেতা ছিলাম না, দলের নেতা ছিলাম।”
প্রসঙ্গত, হুগলিতে সদস্যতা সংগ্রহ কর্মসূচিতে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ” এখানে যতগুলো বিধানসভা আমি দেখেছি সবগুলো জেতা আছে। কিন্তু আমরা জিততে পারিনি। তার একমাত্র কারণ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এটা ভেরি ভেরি স্যাড নিউজ।”
বাংলার রাজনীতিতে শাসক শিবিরের প্রধান প্রতিপক্ষ এখন বিজেপি। তবে বিজেপি অন্দরে একাধিক গোষ্ঠীর কথা পদ্ম শিবিরের অন্দরে কান পাতলেও শোনা যায়। সুকান্ত অনুগামী কিংবা শুভেন্দু-লবি- রাজনৈতিক মহলে এই শব্দবন্ধগুলো খুব একটা বেশি অপরিচিত নয়। কিন্তু দিলীপের বক্তব্য তাঁর সময়ে দলে কোনও গোষ্ঠী ছিল না। ছিল কেবল দল, আর দলের নেতা। নেতা হিসাবেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তাতে দল ৩ থেকে ৭৭ দাঁড়িয়েছে…
তবুও আফশোস শোনা গিয়েছে দিলীপের গলায়। কারণ দলকে যে পর্যায়ে যে উচ্চতার শিখরে দেখতে চেয়েছেন এই প্রবীন রাজনীতিক, দল এখনও সে জায়গায় পৌঁছয়নি। দিলীপের বক্তব্য, “রেজাল্ট দেবে, তাকেই নেতা করা উচিত। আমরা এখানে ৭০ বছর ধরে লড়াই করেছি, বিজেপি এগোতেই পারেনি।”
কিন্তু বাইরের দল থেকে এসে সমঝোতায় কোনও সমস্যা হচ্ছে না? গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব আসছে কোথা থেকে? দিলীপ বলেন, “বিভিন্ন আদর্শের লোক দলে এলে. অ্যাডজাস্ট করতে সমস্যা হতেই পারে, কিন্তু সেটা যদি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে চিন্তায় বিষয়।”