TET Protest: রাজনীতি করতে নয়, পেটের দায়ে, বাঁচার দায়ে আজ ওরা রাস্তায়: দীপ্সিতা

Dipsita Dhar: বাড়ি থেকে যে যা খাবার এনেছিলেন, সব রাস্তায় ফেলে দিয়েছেন। জলের বোতলও রাস্তায় পড়ে। দাবি না মানা পর্যন্ত জলস্পর্শ না করার প্রতিজ্ঞা করেছেন ওঁরা। এবার চাকরিপ্রার্থীদের সেই মরিয়া আন্দোলনে পাশে দাঁড়াতে এলেন দীপ্সিতা ধর, সৃজন ভট্টাচার্যরাও।

TET Protest: রাজনীতি করতে নয়, পেটের দায়ে, বাঁচার দায়ে আজ ওরা রাস্তায়: দীপ্সিতা
সল্টলেকে আন্দোলনকারীদের পাশে দীপ্সিতা ধর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 18, 2022 | 8:50 PM

কলকাতা: রাতভর অবস্থান বিক্ষোভ। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় অতিক্রান্ত। পুলিশ মাইকিং করছে। অবস্থান না তুললে কড়া ব্যবস্থা। পর্ষদ সভাপতি সাংবাদিক বৈঠক করছেন। অবস্থান বিক্ষোভে রাজনৈতিক ইন্ধনের গন্ধ পাচ্ছেন তিনি। আর এদিকে যত সময় এগোচ্ছে ততই ঝাঁঝ বাড়ছে আন্দোলনের। দাবি না মানলে, আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওঁরা। ২০১৪ সালে টেট (TET 2014 Protest)। তারপর থেকে আট বছর অতিক্রান্ত। এখনও মেলেনি চাকরি। হকের চাকরি পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছেন তাঁরা। স্লোগান উঠছে ‘ডু অর ডাই’। বাড়ি থেকে যে যা খাবার এনেছিলেন, সব রাস্তায় ফেলে দিয়েছেন। জলের বোতলও রাস্তায় পড়ে। দাবি না মানা পর্যন্ত জলস্পর্শ না করার প্রতিজ্ঞা করেছেন ওঁরা। এবার চাকরিপ্রার্থীদের সেই মরিয়া আন্দোলনে পাশে দাঁড়াতে এলেন দীপ্সিতা ধর, সৃজন ভট্টাচার্যরাও।

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে দীপ্সিতা বললেন, “খুবই লজ্জার। খুবই যন্ত্রণা। যাঁরা এখানে বসে রয়েছেন, তাঁদের আসলে স্কুলের মধ্যে থাকার কথা। আমাদের পরিবারের ছেলে-মেয়েদের মানুষ করার দায়িত্ব এদের হাতে ন্যস্ত ছিল। আজ তাঁরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় শুয়ে আছেন। ২৪ ঘণ্টার উপরে হয়ে গেল। এটা লজ্জার, এটা যন্ত্রণার। আমরা এখানে রাজনীতি করতে আসিনি। রাজনীতি করার অনেক জায়গা রয়েছে। যাঁরা এখানে বসে রয়েছেন, তাঁরা আমাদের পরিবারের ছেলে-মেয়ে। আমাদের দাদা-ভাই-বোন। আমাদের আত্মীয়র মতো, আমাদের বন্ধুর মতো। তাঁরা যাতে যোগ্য সম্মান পান, যাতে তাঁরা মাথা উঁচু করে কাজ করতে পারেন, সেই কারণে আমরা ওনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।”

পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল এদিন আন্দোলনকারীদের অবস্থানে যে রাজনৈতিক ইন্ধনে কথা বলেছেন, সেই প্রসঙ্গে দীপ্সিতা বলেন, “এদেরকে জিজ্ঞেস করুন না, এরা কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য। আমি বিশ্বাস করি, আমি গ্যারান্টি নিয়ে বলছি, এখানে অনেক ছেলে-মেয়ে আছে, যাঁরা হয়ত এই নির্বাচনেও তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা করে ভোট দিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে, যে কথা উনি বলেছিলেন, ডবল ডবল চাকরি হবে… সেই ডবল ডবল চাকরি না হোক, অন্তত একটি যোগ্য চাকরি পাব। সেই কথা ভেবে ভোট দিয়েছিলেন। যাঁরা এখানে বসে আছেন, তাঁরা রাজনীতি করতে আসেননি। পেটের দায়ে, বাঁচার দায়ে, বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছেন। এটা যেন দিদি না ভুলে যান।”