Sovan-Baisakhi: শোভনকে বৈশাখীর মেয়ে কেন ‘দুষ্টু’ বলে ডাকে জানেন?

Sovan-Baisakhi: তবে এই দুষ্টু নাম নিয়ে মহুলের বন্ধুদের মধ্যেও কৌতূহলের অন্ত নেই। বৈশাখী দেবী বলছেন, “ যখনই বাড়িতে মেয়ে শোভনকে ওই নামে ডাকে তখন ওদের মধ্যে এই ডাক নিয়ে কৌতূহল যে আছে বুঝতে পারি। বাবার সমার্থক হিসাবে যে ডাকগুলো হয় তার সঙ্গে তো এই দুষ্টু ডাকটা যায় না।”

Sovan-Baisakhi: শোভনকে বৈশাখীর মেয়ে কেন ‘দুষ্টু’ বলে ডাকে জানেন?
শোভন-বৈশাখী
Follow Us:
| Updated on: Feb 05, 2025 | 9:04 PM

কলকাতা: শৌভন-বৈশাখী! বিগত কয়েক মাসে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনা তো বটেই, নাগরিক মহলেও নাম দু’টো যেন বড্ড এক হয়ে গিয়েছে। পয়লা বৈশাখ হোক বা সরস্বতী পুজো, কলকাতার এই ‘সুপারহিট জুটি’ নিয়ে জনমানসের কৌতূহলে ভাটা পড়ে না কখনওই। সব শো-ই যেন ‘হাউসফুল’। কিন্তু জানেন কী, কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে বৈশাখী দেবীর মেয়ে ডাকেন ‘দুষ্টু’ বলে? সরস্বতী পুজোর আবহে সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, কেন এমন ডাক? টিভি৯ বাংলার কাছে সবটা খোলসা করলেন নিজেই। সেই সঙ্গে শোভনের ‘দুষ্টমির’ হাঁড়ির খবরও দিয়ে দিলেন। 

বৈশাখী দেবী বলছেন, “শোভনের সঙ্গে আমি যখন থাকা শুরু করি তখন মহুল খুব ছোট ছিল। ওর তখন দুই থেকে আড়াই বছরের মতো বয়। এখন তো ১২। তবে আমি কাউকে বলে দিই না যে ওকে এই নামেই ডাকতে হবে। তবে একটা স্বতঃস্ফূর্ত সম্পর্কে আমি বিশ্বাস করি যে কোনও ব্যক্তির অধিকার আছে একটা নাম দেওয়ার বা নাম বেছে নেওয়ার। ছোটবেলাতেই শোভনকে আমার মেয়ে জিজ্ঞেস করেছিল আমি তোমাকে কী নামে ডাকব! তখন শোভন বলে তুইও দুষ্টু আমিও খুব দুষ্টু। তুই আমাকে দুষ্টু ডাকবি, আমিও তোকে দুষ্টু ডাকব।” তবে মহুলের মা কিন্তু বলছেন মেয়ে এমনিতে খুব শান্ত! তাই দুষ্ট নামটা ওর সঙ্গে ঠিক যায় না। হাসতে হাসতেই বললেন, “কিন্তু শোভনের জন্য দুষ্ট নাম একদম পারফেক্ট।” শোভনবাবুর দুষ্টমির রহস্যও ফাঁস করে দিলেন নিজেই। বৈশাখী দেবীর কথায়, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহুলের নামের বিবর্তন হয়ে গিয়েছে। মেয়ে এখন মানু হয়ে গিয়েছে। শোভন আর ওকে দুষ্টু বলে ডাকে না। তবে শোভনের দুষ্টুমি ডেকে আমার মেয়ে একদম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে যে ওর জন্য এই নামটাই ঠিক। বাড়িতে তো সবথেকে বেশি দুষ্টু শোভনই।” খানিক কপট রাগের সুরে বলেন, “যে সমস্ত জিনিস নিয়ে বাচ্চাদের কথা ভেবে চিন্তা করতে হয়, এখন তো আমাদের শোভনের জন্য ভাবতে হয়। ও অনেক বেশি দস্যি। সে কারণেই আমার মেয়ে দুষ্টু বলে ডাকে।” 

তবে এই দুষ্টু নাম নিয়ে মহুলের বন্ধুদের মধ্যেও কৌতূহলের অন্ত নেই। বৈশাখী দেবী বলছেন, “ যখনই বাড়িতে মেয়ে শোভনকে ওই নামে ডাকে তখন ওদের মধ্যে এই ডাক নিয়ে কৌতূহল যে আছে বুঝতে পারি। বাবার সমার্থক হিসাবে যে ডাকগুলো হয় তার সঙ্গে তো এই দুষ্টু ডাকটা যায় না। তখন আবার ওদের বুঝিয়ে বলি।”