Duare Ration: ‘মহৎ উদ্দেশ্যেই’ দুয়ারে রেশন! পর্যবেক্ষণ আদালতের, তাই স্থগিতাদেশেও অরাজি

Duare Ration: আদালতে রেশন ডিলারদের দাবি যুক্তিগ্রাহ্য হয়নি। হাইকোর্ট মনে করছে, মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই এই প্রকল্পের সূচনা করেছে রাজ্য।

Duare Ration: 'মহৎ উদ্দেশ্যেই' দুয়ারে রেশন! পর্যবেক্ষণ আদালতের, তাই স্থগিতাদেশেও অরাজি
রেশন ডিলারদের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2021 | 7:52 PM

কলকাতা: রাজ্য সরকারের দুয়ারে রেশন (Duare Ration) প্রকল্পের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি রেশন ডিলারদের একাংশের। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) এ দিন মমতার এই স্বপ্নের প্রকল্পের উপর স্থগিতাদেশ জারি করতে সম্মত হয়নি। যে দিন থেকে এই প্রল্পের পাইলট প্রজেক্টের সূচনা হচ্ছে, সে দিনই আদালতে কার্যত স্বস্তি পেয়েছে রাজ্য। মামলাকারী রেশন ডিলারদের আবেদন খারিজ করে দিয়ে পর্যবেক্ষণে বুধবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বলেন, “প্রয়োজনীয়তাই হল উদ্ভাবনের মূল কারণ। একটা অদৃশ্য ভাইরাস মানুষকে আক্ষরিক অর্থেই বেঁচে থাকার নতুন নতুন পন্থা আবিষ্কার করতে শিখিয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে মানুষ বাধ্য হয়েছে ঘরবন্দি থাকতে। বিভিন্ন সংস্থা মানুষের দরজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার নতুন উপায় আবিষ্কার করেছে। বেসরকারি সংস্থাগুলো এবিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। সরকারি বা আধা-সরকারি সংস্থাগুলিও খুব বেশি পিছিয়ে নেই।”

দুয়ারে রেশন মামলায় বিচারপতি আরও উল্লেখ করেন, চিকিৎসা, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, শিক্ষা, বিচারব্যবস্থা-সহ সব পরিষেবাই এখন একটি বোতাম চাপলেই পাওয়া যাচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের জিনিসও গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রের ধারণাও পাল্টাতে শুরু করেছে। মানুষ বাড়িতে থেকে কাজ করা শিখছেন। ভার্চুয়ালি বা অনলাইনে জিনিসপত্র কেনায় অনেকে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। ভিড়ের মধ্যে দোকানে যাওয়ার ঝুঁকি এড়াতে চাইছে।

ঠিক এমন একটা স্পর্শকাতর সময়ে রাজ্য সরকার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই গোটা রাজ্যে মানুষের দোরগোড়ায় খাবার পৌঁছে দিতে দুয়ারের রেশন নামক প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কোনও আইন ভঙ্গ হয়েছে বলে আদালত মনে করছে না। এই বিষয়টি বিচারপতি নিজের রায়েও উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ, আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে যে ভাবে দাবি করা হয়েছিল যে দুয়ারে রেশন প্রকল্প বেআইনি, বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে সেটা যুক্তিগ্রাহ্য নয়। আদালত এই বিষয়টি সাফ করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: WB Fever: দশ রকমের জ্বর কাঁপুনি ধরাচ্ছে বাংলায়, কী লক্ষণ, কী করবেন জেনে নিন

রেশন ডিলারদের একাংশের বক্তব্য, দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করার ফলে, ডিলারদের উপর চাপ বেড়েছে। ডিলারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দিয়ে আসতে হচ্ছে। কিন্তু এর জন্য তাঁরা সরকারের থেকে আলাদা করে কোনও সাহায্যই পাচ্ছেন না। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, রেশন ডিলারদের হাতে তেমন লোক-বলও নেই, যাতে তাঁরা স্থানীয়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দিতে পারেন। সরকারের তরফে রেশন আইনে কোনওরকম পরিবর্তন করা হয়নি বলেও অভিযোগ ছিল রেশন ডিলারদের। এমনই একগুচ্ছ দাবি-দাওয়া নিয়ে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টে তাঁরা আবেদন করেছিলেন, যাতে দুয়ার রেশন প্রকল্পের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।

তবে আদালতে এই দাবি যুক্তিগ্রাহ্য হয়নি। হাইকোর্ট মনে করছে, মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই এই প্রকল্পের সূচনা করেছে রাজ্য।

আরও পড়ুন: তৃতীয় ঢেউয়ে প্রস্তুত শুধুই কি মুখের কথা? বেআব্রু হয়ে পড়ল ‘অজানা জ্বরেই’