DumDum Body Recovered: ঘর থেকে বের হচ্ছিল দুর্গন্ধ, দমদমে মা-ছেলের পচাগলা দেহ উদ্ধার
DumDum Body Recovered: গত ছয় মাস আগে দমদমের নবপল্লিতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন মা ও ছেলে।

কলকাতা: বন্ধ ঘর থেকে মা ও ছেলের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। দমদমের নবপল্লির ঘটনা। এলাকায় চাঞ্চল্য। মৃতদের নাম শ্রাবণী পাল ও সন্দীপ পাল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা শ্রাবণী ও সন্দীপ গত ছয় মাস আগে দমদমের নবপল্লিতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তাঁদের বাড়ির দরজা এক টানা বন্ধ ছিল। কাউকেই বের হতে কিংবা ঢুকতে দেখা যায়নি। সন্দেহ হচ্ছিল প্রতিবেশীদের। পরে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াতে সন্দেহ গাঢ় হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদেরই এক আত্মীয় বাড়িতে এলে রহস্য ফাঁস হয়। বাড়ির দোতলার ঘর থেকে উদ্ধার হয় মা-ছেলের দেহ। মৃত দেহদুটি উদ্ধার করে দমদম থানার পুলিশ। পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাত থেকে টানা বোন ও ভাগ্নেকে ফোন করেছিলেন সন্দীপের মামা। কিন্তু কেউ ফোন ধরেননি। বিপদ আঁচ করে নবপল্লির ওই বাড়িতে সকালে আসেন তিনি। বাইরে থেকে বেল টিপলেও সাড়া মেলেনি। পরে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। বাড়ির দোতালায় উঠলে পচা গলা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন দু’জনকে। ততক্ষণে খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকাতেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বাড়ির মালিক। থানায় ফোন করে পুলিশ ডাকেন তিনি। তদন্তে পুলিশ জানতে পারেন, মাস ছয়েক আগে মা-ছেলে ওই বাড়িতে ভাড়া এসেছিলেন। তিন মাস বাড়ি ভাড়াও দেন। কিন্তু বিগত তিন মাস বাড়ি ভাড়ার টাকা দিতে পারছিলেন না তাঁরা। তদন্তে জানা গিয়েছে, বাড়িওয়ালাকে তাঁরা জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন থাকবেন না। এরপর আর তাঁদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করা যায় নি।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন মা ও ছেলে। তাই এই পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা। দেহের অবস্থা দেখে পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, প্রায় সাত দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ছেলে। মায়ের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে এমনও হতে পারে, মাকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, মা ও ছেলে কয়েক মাস আগেই এলাকায় এসেছেন। তাঁরা পাড়ার কারোর সঙ্গেই মেলামেশা করতেন না সেভাবে। বাড়ির বাইরেও তাঁদেরকে সেভাবে দেখা যেত না। তাই সাতদিন তাঁদের দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয়নি প্রতিবেশীদের। পরে দুর্গন্ধ ছড়াতে কিছুটা সন্দেহ হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলছেন, “ওঁদের ব্যাপারে কিছুই বলতে পারব না। ছেলেটা কী কাজ করতেন, আদৌ কিছু করতেন কিনা, জানা নেই। বাড়ির বাইরে তো খুব একটা বের হতে দেখতাম না। কথাবার্তাও সেভাবে বলতেন না।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: Criminal Arrest in Belghoria: বেলঘরিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি সহ কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ
