Tangra Case: হাসপাতাল থেকে সোজা জেল! ট্য়াংরা কাণ্ডে প্রণয় দে-কে গ্রেফতার করল পুলিশ
Tangra Case Arrested: ত ফেব্রুয়ারি মাসেই এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী থেকেছিল কলকাতা। একটা অভিজাত পরিবারের অন্দরে রসায়নটা এরকম হতে পারে, তা সাধারণের কাছে ছিল কল্পনাতীত। গলা অবধি ঋণের দায়ে ভীত নড়ে গিয়েছিল ট্যাংরা দে পরিবারের।

কলকাতা: ট্য়াংরা-কাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার শেষ অভিযুক্ত তথা দে পরিবারের বড় ছেলে প্রণয়। মাস কয়েক আগেই একই পরিবারের তিন সদস্যকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল ভাই প্রসূন দে-কে। এবার গ্রেফতার হলেন প্রসূনের দাদা প্রণয় দে।
জানা গিয়েছে, এত দিন পর্যন্ত NRS হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই প্রণয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর সরাসরি নিয়ে যায় শিয়ালদহ আদালতে। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত ট্য়াংরা কাণ্ডের অন্য়ত্তম অভিযুক্তকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী থেকেছিল কলকাতা। একটা অভিজাত পরিবারের অন্দরে রসায়নটা এরকম হতে পারে, তা সাধারণের কাছে ছিল কল্পনাতীত। গলা অবধি ঋণের দায়ে ভীত নড়ে গিয়েছিল ট্যাংরা দে পরিবারের। প্রসূন ও প্রণয়ের ‘ভুলের’ মাশুল গুনতে হয়েছিল পরিবারের বাকি সদস্যদেরও। তিনটে ঘর। আর সেই তিন ঘর থেকে উদ্ধার বাড়ির তিন মহিলা সদস্যের দেহ। তারপরই চড়ে উত্তেজনার পারদ। খুন নাকি আত্মহত্যা? কীভাবেই বা খুন, কেনই বা খুন, একাধিক প্রশ্ন তখন ঘিরে ধরে প্রসূন-প্রণয়কে।
পরবর্তীতে জানা যায়, ঋণের বোঝা সামলাতে না পেরে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন প্রণয়-প্রসূন। সঙ্গী হয়েছিলেন স্ত্রীরাও। সেই মতো প্রথমে ড্রাগ ওভারডোজ। তারপর খুন। ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছিল প্রণয়ের ছেলে। তারপর স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বুঝে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ি চেপে রাতের অন্ধকারে আত্মহত্যার চেষ্টায় বেরিয়ে পড়েন প্রণয় ও প্রসূন। কিন্তু পণ্ড হয় সেই পরিকল্পনাও।

