Lynching: বার বার ‘গণপিটুনি’তে মৃত্যু, কেন এত অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে আমজনতা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Aug 02, 2022 | 7:17 PM

Lynching: কেন বার বার এইভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরা? কেন বাড়ছে এই প্রবণতা? মানুষ কি বড্ড অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে?

Lynching: বার বার গণপিটুনিতে মৃত্যু, কেন এত অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে আমজনতা?
পিটুনিতে মৃত্যুর অভিযোগ (প্রতীকী ছবি)

Follow Us

কলকাতা : সোমবার এক মর্মান্তিক ঘটনা গিয়েছে রাজ্যে। শ্যামনগর এলাকায় এক যুবককে মোবাইল ছিনতাই করে পালানোর সন্দেহে পাকড়াও করে বেধড়ক মারার অভিযোগ ওঠে পথচলতি মানুষদের বিরুদ্ধে। পরে যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এমন গণপিটুনির অভিযোগ সাম্প্রতিককালে একাধিকবার উঠে এসেছে রাজ্যে। গতমাসেই বীরভূমে স্ত্রীকে ‘খুন’ করে পালানোর সময় এক ব্যক্তিকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। তারপরই উত্তম-মধ্যম প্রহার। ওই ঘটনাতেও মৃত্যু হয়েছিল ব্যক্তির। মাসখানেক আগে বারুইপুর থানা এলাকাতেও চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই বারও একই পরিণতি। কিন্তু কেন বার বার এইভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরা? কেন বাড়ছে এই প্রবণতা? মানুষ কি বড্ড অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে?

প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল বিশিষ্ট সমাজকর্মী মীরাতুন নাহারের সঙ্গে। মানুষ প্রশাসনের উপর বিশ্বাস হারানোর ফলেই এই ধরনের ঘটনাগুলি বার বার ঘটছে বলেই মত তাঁর। তাঁর বক্তব্য, “মানুষ প্রশাসনের উপর বিশ্বাস হারিয়েছে। তার ফলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রশমনের উদ্যোগ কমে গিয়েছে মানুষের মধ্যে। তাই চোরকে ধরে থানায় দেওয়ার বদলে মানুষ পেটাচ্ছে।” আসলে এটি প্রশাসনের উপর মানুষের আস্থা হ্রাস হিসেবেই দেখছেন মীরাতুন নাহার।

মানুষের মধ্যে এই ধরনের অসহিষ্ণুতা বাড়ার কারণ জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল বিশিষ্ট মনোবিদ চিকিৎসক সুবর্ণা সেনের সঙ্গে। তাঁর মতে, “মানুষের ধৈর্য একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কারও কোনও ধৈর্য নেই। এর একটি বড় কারণ সম্ভবত কোভিড প্যানডেমিক পরবর্তী পরিস্থিতিতে নৈরাশ্য, অনিশ্চয়তা বেড়ে যাওয়া। সে ক্ষেত্রে কোনও কিছু পেলেই আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশ করার উপায় থাকলে, তা পুরোটা বেরিয়ে আসছে। এই আগ্রাসী মনোভাব শুধুমাত্র যে মার খাচ্ছে, তার উপর নয়। বিষয়টি অনেকদিন ধরে জমা। অনেক বিষয়ের উপর, অনেক মানুষের উপর জমাট হয়ে থাকা ক্ষোভ বেরিয়ে আসছে। তার ফলে এই ঘটনা এত বেশি হচ্ছে।”

Next Article