Fire: ঢাকুরিয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভয়াবহ আগুন, দমকলের ৬টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে
Fire in Bank: ব্যাঙ্ক খোলার সময় না হওয়ায় কোনও কর্মী কিংবা গ্রাহক ব্যাঙ্কে ছিলেন না। ফলে বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে বলে দমকল কর্মীরা মনে করছেন। কিন্তু, ব্যাঙ্কে নানা নথি রয়েছে। সেইসব নথিপত্রের যাতে বেশি ক্ষতি না হয়, তার চেষ্টা করেন দমকলকর্মীরা। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।

কলকাতা: সাতসকালে ঢাকুরিয়ায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় ভয়াবহ আগুন। এদিন সকালে ব্যাঙ্কের ভিতর থেকে ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষীরা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পেয়েই দমকলের ৬টি ইঞ্জিন পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কেউ হতাহত হননি। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে পৌনে ৬টা নাগাদ ব্যাঙ্কে আগুন লাগে। ব্যাঙ্ক খোলার সময় না হওয়ায় কোনও কর্মী কিংবা গ্রাহক ব্যাঙ্কে ছিলেন না। ফলে বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে বলে দমকল কর্মীরা মনে করছেন। কিন্তু, ব্যাঙ্কে নানা নথি রয়েছে। সেইসব নথিপত্রের যাতে বেশি ক্ষতি না হয়, তার চেষ্টা করেন দমকলকর্মীরা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এই শাখার এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, “গ্রাহকদের নথির কোনও ক্ষতি হয়নি। মূলত আসবাবপত্রে আগুন লাগে। সোয়া ৬টা নাগাদ আমরা খবর পাই। আমাদের নিচে এটিএমে যে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন তাঁরাই খবর দেন।”
ব্যাঙ্কে আগুন লাগার খবর পেয়ে গ্রাহকরাও হাজির হন। তাঁদের নথিপত্রের কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না, তা জানতেই তাঁরা হাজির হয়েছেন বলে জানালেন তন্ময় চট্টোপাধ্যায় নামে এই ব্যাঙ্কের এক গ্রাহক। তিনি বলেন, “লকারের কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না জানতে এসেছিলাম। ব্যাঙ্ক বলল, লকারের কোনও ক্ষতি হয়নি। ব্যাঙ্কের দোতলায় আগুন লেগেছিল। দশটার পর এসে জানতে পারব, কোনও নথিপত্র ক্ষতি হয়েছে কিনা।” আর এক গ্রাহক বলেন, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে জানা গিয়েছে।
ব্যাঙ্কে আগুন লাগার খবর পেয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাম কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব। তিনি বলেন, “খবর পেয়েই আমি এখানে আসি। কেউ আহত হয়েছেন কি না, সেটা জানতেই আমি আসি। কেউ আহত হননি বলেই আমি জানতে পেরেছি।”
