Fire In Kolkata: বাম আমলে ভরাট করার চেষ্টা হয়েছিল, সেই পুকুরই বাঁচিয়ে দিল ট্যাংরার মানুষগুলোকে
Fire In Kolkata: উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প লাগিয়ে জল তোলা হচ্ছে গত ১৫ ঘন্টা ধরে।
কলকাতা: ট্যাংরার অগ্নিকাণ্ড আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই শহরের বুকে পুকুর বা জলাশয়ের প্রয়োজনীয়তা কতটা। কারণ যে গুদামে আগুন লেগেছে, তার সংলগ্ন ভবাপাগলা সরণির একটি পুকুর থেকে শনিবার রাত থেকে লাগাতার জল তুলেছে দমকল। স্থানীয় বাসিন্দারা সাহায্য করেছে দমকলকে সেই পুকুর চিহ্নিত করতে ও জল তুলতে। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প লাগিয়ে জল তোলা হচ্ছে গত ১৫ ঘন্টা ধরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, আগুন যেভাবে ভয়াবহ চেহারা ধারণ করছিল, তাতে এই পুকুর থেকে জল না দিলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ত। দমকলেরও বক্তব্য, প্রথমে একসঙ্গে এত জলের চাহিদা মেটানোর জন্য পুকুর ও খালের জল সাহায্য করেছে।
বাম আমলে এই পুকুর ভরাট করার চেষ্টা হয়েছিল। তখন স্থানীয়রা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁরা বুঝেছিলেন এলাকায় পুকুরের প্রয়োজনীয়তা কতটা। তারপর থেকে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জলের যোগান দিয়েছে এই পুকুর। শনিবারের অগ্নিকাণ্ডেও ত্রাতার ভূমিকায় ভবপাগলা সরণির এই পুকুর।
দমকল ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রেক্সিনের মধ্যে থাকা ৪ রাসায়নিকের জন্যই আগুন নিভছে না। কী এই চার রাসায়নিক? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমত, সেলুলোজ নাইট্রেট (লো ইন্টেন্সিটি বিস্ফোরক, যা কিছু ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। দুই ক্যামফর অয়েল। তিন, রজক পদার্থ ও চার অ্যালকোহল।
এই চার রাসায়নিকের মিশ্রণে তৈরি হয় রেক্সিন। যা একবার আগুনের কবলে এসে দ্রুত ছড়ায়, ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে ও ততক্ষণ পর্যন্ত জ্বলে যতক্ষন এই রাসায়নিক উপস্থিত থাকে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও কুলিং প্রসেস চালিয়ে যাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। দাহ্য পদার্থে ঠাসা থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গুদামটি। তার উপর ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত লাগোয়া কিছু জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না।