Nadia Crime: বাবার মৃত্যুর পর মা কাকুর সঙ্গে আরও বেপরোয়া, তা বলে প্রকাশ্যেই এমন কাজ! বন্ধুদের থেকে শুনেই যা করলেন ছেলে…
Nadia Crime: কল্যাণ গুহ নামে ওই ব্যবসায়ী এলাকায় পরিচিত। শনিবার আর পাঁচটা দিনের মতন কল্যাণ তিনি তাঁর হোটেল থেকে বাইকে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথের মাঝেই সায়ন্তন সাহা নামে এক যুবক হঠাৎ তাঁর বাইকের সামনে এসে দাঁড়ান।
নদিয়া: কিছুদিন আগেই বাবার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তার পর থেকে মায়ের সঙ্গে পাড়ার কাকুর ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেনি ছেলে। পাড়ার বন্ধুদের কাছ থেকে মায়ের এই সম্পর্ক নিয়ে অনেক কথা শুনতে হচ্ছিল তাঁকে। হজম করতে পারছিল না সে। তাই মায়ের ‘প্রেমিক’কেই রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। মাঝ রাস্তায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে মায়ের প্রেমিকের মাথায় এলোপাথাড়ি কোপ! ভয়ঙ্কর ঘটনা নদিয়ার শান্তিপুরের বাইগাছিপাড়ায়। আক্রান্ত হোটেল ব্যবসায়ীর মাথায় ১৮টা সেলাই পড়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যবসায়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কল্যাণ গুহ নামে ওই ব্যবসায়ী এলাকায় পরিচিত। শনিবার আর পাঁচটা দিনের মতন কল্যাণ তিনি তাঁর হোটেল থেকে বাইকে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথের মাঝেই সায়ন্তন সাহা নামে এক যুবক হঠাৎ তাঁর বাইকের সামনে এসে দাঁড়ান। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্র হাতে তাঁর মাথার ওপর একের পর এক আঘাত করতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ব্যবসায়ী।
দাঁ দিয়ে এলোপাতাড়ি কল্যাণের মাথায় কোপ মারতে থাকেন তিনি। স্থানীয়রা জড়ো হওয়ার আগেই পালিয়ে যান সায়ন্তন। রক্তাক্ত অবস্থায় কল্যাণকে শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসমপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মাথায় এবং হাতে একাধিক ক্ষত রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১৮ টি সেলাই পড়েছে। এ বিষয়ে কল্যাণ গুহর স্ত্রী তুলি গুহ বলেন, “পাড়ার মিঠু সাহা নামে এক গৃহবধূর সঙ্গে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বিবাহ বহির্ভূত রয়েছে ওর। কিছুদিন আগে ওই মহিলার স্বামীর মৃত্যু হয়। পরে ওরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এমনকি দুজনে বিয়ে করবে বলেও ঠিক করে। মেয়েটাই বিয়ে জন্য চাপ দিচ্ছে।”
মায়ের সম্পর্ক ও কল্যাণের সঙ্গে ওঠাবসা-মেলামেশা পছন্দ করত না সায়ন্তন। তাতেই চরম সিদ্ধান্ত নেন। তবে এসবের পরও আরও বেপরোয়া মিঠু। তার সরাসরি কথা, “ছেলে যা করেছে, তাতে ওকে শাস্তি পেতেই হবে। আর এই সব সম্পর্ক আখছার হয়ে থাকে। এই রকম সম্পর্কে অনেকেই থাকেন।”