কলকাতা: বৃষ্টি থেমেছে। তবে দামোদরে লাল সতর্কতা জারি ডিভিসির। ২ লক্ষ ১০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি। ফলে জল বেরোনোর পরিমাণ বেড়েছে দুর্গাপুর ব্যারাজেও। ডুবতে চলেছে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের একাংশ। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও এ নিয়ে সতর্ক করেন।
নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ডে সরলেও কমছে না বিপদ। বর্ষার শেষ পর্যায়ে নদী-খাল-বিল প্রায় ভর্তি। বিপুল পরিমাণ জল এলে প্লাবন অনিবার্য বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস। হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুর নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। বড়সড় উদ্বেগ হুগলির খানাকুল, আরামবাগেও।
কেন উদ্বেগ? অগাস্টের শুরুতে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক হারে জল ছেড়েছিল ডিভিসি। তাতেই ডুবে যায় হাওড়া, হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই বন্যার জল আসার আগে নদীতে জল বেশি ছিল, খাল-বিল শুকনোই ছিল। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা। গত দেড় মাসে বারবার নিম্নচাপ এসেছে। খাল-বিল সব ভর্তি। সাম্প্রতিক অতি গভীর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে কম-বেশি সব নদীই ফুঁসছে। এই অবস্থায় ২ লক্ষ ১০ কিউসেক হারে ছাড়া জলে বিরাট বিপদ হতে পারে। দামোদর, মুণ্ডেশ্বরী, রূপনারায়ণ, তিন নদীর পাড়েই সতর্কতা বাড়ানো উচিত প্রশাসনের।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চারিদিকে বন্যা হচ্ছে। হুগলিতে খানাকুলে ৩৫ জন মানুষ আটকে বলে খবর। হঠাৎ ডিভিসি জল ছাড়ায় এই বিপদ। আমি হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে তিনবার কথা বলেছি। বারবার অনুরোধও করেছি। জানি না কী করবেন। জল ছাড়া হয়ে গিয়েছে। আর তাতে বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনার অনেকটাই ক্ষতির মুখে পড়েছে।”