‘দুয়ারে ত্রাণ’ বণ্টনের দায়িত্বে সরকারি আধিকারিক, দুর্নীতি এড়াতে কড়া সিদ্ধান্ত মুখ্যসচিবের
আমফানের ত্রাণ বিলিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগের কথা মাথায় রেখেই এই কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
কলকাতা: অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ত্রাণ বণ্টন নিয়ে এ বার কড়া পথে হাঁটছে নবান্ন। রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পের কাজ একমাত্র সরকারি আধিকারিকরা করবেন। কোনও পঞ্চায়েত অফিস বা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এই প্রকল্পের কাজ হবে না। সরকারি অফিস বা স্কুলে এই দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের কাজ করতে হবে। গতকাল রাজ্যের মুখ্যসচিবের পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরই মঙ্গলবার একটি বৈঠকের পর স্পষ্টভাবে এই বিষয়টি জানিয়ে দেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বস্তুত, আমফানের ত্রাণ বিলিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগের কথা মাথায় রেখেই এই কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
রাজ্যের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, ত্রাণের আবেদনপত্রগুলি জমা নিয়ে সেগুলিকে ডিজিটালাইজ়ড করতে হবে। এরপর আবেদনের সত্যতা যাচাই করবেন সরকারি আধিকারিকরা। যারা আবেদন জানিয়েছেন প্রয়োজনে তাঁদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সশরীরে গিয়ে খতিয়ে দেখা হবে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, প্রত্যেকটি সরকারি দফতরে একটি ড্রপবক্স রাখতে হবে। পাশাপাশি দুয়ারে ত্রাণের জন্য সবসময় বিস্তারিত তথ্য আপলোড করতে হবে যার জন্য একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট দিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: তুঙ্গে সংঘাত, কেন্দ্রের শো-কজের জবাব দিতে চলেছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়
নবান্ন সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া, মূলত এই পাঁচ জেলাতেই প্রাথমিকভাবে দুয়ারে ত্রাণের কাজ হবে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী আজ ভিডিয়ো কনফারেন্সে একটি বৈঠক করে এই নির্দেশ দেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। আগামী ৩ জুন থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে ত্রাণ বিলির কাজ। এই ত্রাণ বণ্টনের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি দফতর কীভাবে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের অধীনে টাকা দেবে সেই সম্পর্কিত একটি প্রশিক্ষণও কার্যত দেওয়া হয় জেলাশাসকদের।
আরও পড়ুন: ৪০ দিনে প্রথমবার রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের নীচে, বাড়ছে সুস্থতার হার