Kasba Law College: নির্যাতিতাকে জোর করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে…, সিসিটিভি ফুটেজেই ধরা পড়ল সবটা, রক্তের নমুনা পেল ফরেন্সিক
Kasba Law College: নিরাপত্তারক্ষী উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও গার্ড রুমে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। নিরাপত্তারক্ষীকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে গণধর্ষণে অভিযুক্ত তিনজনকে।

কলকাতা: কসবা-কাণ্ডে ল কলেজ থেকে নমুনা সংগ্রহ করল ফরেন্সিক টিম। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর শুক্রবার রাতেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান বিশেষজ্ঞরা। কলেজে তল্লাশি চালিয়ে একটি ঘর থেকে হকিস্টিক বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা। এছাড়া কমন রুমে মিলেছে রক্তের দাগ। সংগ্রহ করা হয়েছে নমুনা।
কমন রুমে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল, সেই জায়গা থেকেই রক্তের দাগ মিলেছে। তবে হকিস্টিকগুলি কেন বাজেয়াপ্ত করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাস্থল অর্থাৎ গার্ড-রুম অর্থাৎ যেখানে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ, সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সব নমুনা শনিবার ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে, কলেজের সিসিটিভির হার্ডডিস্কও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে অন্তত ৫-৬টি সিসিটিভি রয়েছে, যেগুলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফুটেজ পাওয়া যাবে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। সূত্রের খবর, সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে অভিযুক্ত অভিযোগকারিণীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, জোর করে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যে দোকান থেকে ইনহেলার কেনা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে, আজ সেই দোকানের সিসিটিভিও পরীক্ষা করবে পুলিশ।
উল্লেখ্য, নির্যাতিতা তাঁর অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, ঘটনার পর তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর তাঁকে ইনহেলার এনে দেওয়া হলে, তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করেন। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাঁকে গার্ড রুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ টিএমসিপি নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
