কলকাতা: মায়ের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ। সেখানে তাঁর মেয়েকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে কোর্স কমপ্লিট করানোর নামে প্রতারণা। অভিনব পদ্ধতিতে প্রতারণা করে গ্রেফতার যুবক। জানা গিয়েছে, দমদম ফকির ঘোষ রোডের বাসিন্দা ওই যুবতী। জানা গিয়েছে, তাঁর মায়ের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় হয় আলাপ জমান অভিযুক্ত যুবক। কথাবার্তায় তাঁর মা ওই যুবককে জানান, মেয়ে বাড়িতে পড়াশুনা করছেন এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
যুবতীর দাবি, ওই যুবক তাঁর মাকে জানান, মনিপালের মন্ত্রী এইচ কে পাটেলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় রয়েছে। সেই মন্ত্রীর কোটাতেই কস্তুরা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে এমবিবিএস কোর্স সম্পূর্ণ করিয়ে দেবেন। কিন্তু তার জন্য টাকা লাগবে। অগ্রিম এক লক্ষ টাকা দাবি করেন ওই যুবক। এত লক্ষ টাকা দিয়েও দেন যুবতীর মা।
যুবতীর সমস্ত তথ্য নেওয়ার পরে ধাপে ধাপে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন অভিযুক্ত যুবক। অভিযুক্ত বিশ্বাস অর্জন করার জন্য বেশ কিছু মেডিক্যাল কলেজ সংক্রান্ত ভুয়ো নথিও দেন যুবতীর মাকে। কিন্তু তারপর আর বিষয়টি না এগনোয় সন্দেহ হয় যুবতী ও তাঁর মায়ের।
কিছু দিন পরে কস্তুরা মেডিক্যাল কলেজের নম্বরে যোগাযোগ করে তাঁরা বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন। এরপর তাঁরা অভিযুক্ত যুবককে ফোন করেন। তখন ওই যুবক জানান, ‘মন্ত্রী কোটায় ভর্তি হলে কলেজ কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে পারে না।’
নাগেরবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যুবতী। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই যুবককে দমদম থানার পুলিশ কয়েকদিন আগে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার করেছে। নাগেরবাজার থানা এই অভিযুক্ত যুবককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
নাগেরবাজার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত নেমে জানতে পেরেছে এই যুবক বাংলা-সহ ভিন রাজ্যের একাধিক নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে ছবি তুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করেছেন। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, কল্যাণী এইমস-এ চাকরি দেওয়ার নাম করেও এই অভিযুক্তের নামে একাধিক প্রতারণার মামলা আছে।