Health University VC: স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর নির্দেশ, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বাড়ল আরও!
Health University VC: নিয়ম মেনে উপাচার্য পদে বসেননি, এই যুক্তিতেই সুহৃতা পালকে সরানোর কথা বলেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল।
কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষা দফতর নিয়ে নবান্ন ও রাজভবনের সংঘাত সম্প্রতি সামনে এসেছে একাধিকবার। এবার সেই সংঘাতে নয়া মোড়! স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পালকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। ইউজিসি’র নিয়ম মেনে উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হননি সুহৃতা পাল। তাহলে কেন তাঁকে সরানো হবে না? এই প্রশ্ন তুলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যকে জবাব দিতে বলেছিলেন আচার্য বোস। উপাচার্য উত্তরে জানিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন জবাবে সন্তষ্ট হননি আচার্য। এরপরই স্বাস্থ্য সচিবকে রাজভবনের তরফ থেকে উপাচার্যকে সরানোর কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আচার্যের যুক্তি সার্চ কমিটি দ্বারা নিয়োগ হলেও সেই সময় কমিটিতে থাকতেন না ইউজিসি-র কোনও প্রতিনিধি। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ইউজিসির নিয়ম না মেনে আদালত অবমাননা করা হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছে রাজভবন। তবে প্রশ্ন উঠছে, উপাচার্য সুহৃতা পাল এখন কী করবেন? তিনি কি আদৌ সরবেন পদ থেকে? নাকি হাঁটবেন আইনি পথে। কারণ রাজভবনের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন উপাচার্য। ইতিমধ্যেই তিনি আইনি পরামর্শ নিয়েছেন বলেও সূত্রের খবর।
এদিকে, সুহৃতা পাল যদি সরে যান, তাহলে কে আপাতত সেই পদ সামলাবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলছে রাজভবন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে এ রাজ্যে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয় । সেই সময় উপাচার্য নিয়োগের জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ীই নিয়োগ হত। তাতে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা UGC-র কোনও প্রতিনিধি। ২০১৩ সালে আইন সংশোধন হয়। এরপর বাদ পড়ে ইউজিসির প্রতিনিধি।সেই নতুন সার্চ কমিটিই নিয়োগ করেছিল সুহৃতা পালকে।