Suvendu Adhikari: নেতাইয়ে শুভেন্দুকে ‘বাধা’ কেন, মুখ্যসচিব, ডিজির কাছে লিখিত কৈফিয়ৎ তলব রাজ্যপালের

Jagdeep Dhankhar: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, "বিজেপির কোনও নেতাকে আটকালে রাজ্যপাল তৎপর।"

Suvendu Adhikari: নেতাইয়ে শুভেন্দুকে 'বাধা' কেন, মুখ্যসচিব, ডিজির কাছে লিখিত কৈফিয়ৎ তলব রাজ্যপালের
কমিশনারকে তলব ধনখড়ের (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 08, 2022 | 3:51 PM

কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর নেতাইয়ে কর্মসূচি ঘিরে যে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে তাতে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। এবার এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে কৈফিয়ৎ তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আদালতের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও কী কারণে, কোন পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাইয়ে ঢোকার আগে আটকানো হল। টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, এই ঘটনা জরুরি অবস্থার কথা মনে করায়।

শুক্রবারই মেদিনীপুরের নেতাইয়ে কর্মসূচি ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। সেখানে যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা। আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে তাঁর রাস্তা আটকানোর অভিযোগ তোলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। এরপর নেতাইয়ের বদলে ভীমপুরে কর্মসূচি করেন তিনি। নেতাইয়ে যেতে না পারার বিষয়টি উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের কাছে অভিযোগপত্র পাঠান।

সেই চিঠির পরই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যর কাছে এই সংক্রান্ত লিখিত জবাব চান। আগামী ১০ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে লিখিত আকারে তিনি কৈফিয়ৎ তলব করেন।

এ বিষয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “একজনকে আটকেছে, আরেকজন ডেকে পাঠিয়েছেন। এটা প্রশাসনের বিষয় প্রশাসনই বলতে পারবে। তবে বিজেপির কোনও নেতাকে আটকালে রাজ্যপাল তৎপর, অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যদি কিছু হয় সেই তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় না এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমি মনে করি রাজ্যপালের পদ এবং রাজ্যপালের চেয়ারের একটা গরিমা আছে। সেটা দলমত নির্বিশেষে যিনি রাজ্যপাল থাকবেন তাঁর পালন করা উচিৎ।”

অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “রাজ্যপাল ঠিকই বলেছেন। সত্যি একটা জরুরি অবস্থার প্রয়োজন পড়েছে, যে জরুরি অবস্থায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অবিলম্বে ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র হিসাবে একটা সরকারি আবাসনে বসে থাকা রাজ্যপালকে সরানো। এর থেকে দুঃখের, এর থেকে নিন্দাজনক ঘটনা আর কিছু হতে পারে না। তিনি প্রকাশ্যে যেভাবে বিজেপির হয়ে কথা বলেন নিজের চাকরি টিকিয়ে রাখার জন্য, সেটা করে অশোক স্তম্ভের অবমাননা করা ঠিক নয়।”

২০১১ সালের ৭ ই জানুয়ারি নেতাই গ্রামে সশস্ত্র বাহিনীর ছোড়া গুলিতে গ্রামের চারজন মহিলা-সহ ন’জন নিহত হন। ২৮ জন গ্রামবাসী আহত হন। এরপর থেকে প্রতি বছর নেতাই গ্রামে শহিদদের প্রতি এদিন শ্রদ্ধা জানায় তৃণমূল। শুক্রবারও সেখানে গিয়েছিলেন সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র,ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি বিধায়ক অজিত মাইতি প্রমুখ।

আরও পড়ুন: Green Volunteer: কোভিড পরিষেবায় এবার ময়দানে গ্রিন ভলান্টিয়ার, রেড ভলান্টিয়ারের পাল্টা?