Green Volunteer: কোভিড পরিষেবায় এবার ময়দানে গ্রিন ভলান্টিয়ার, রেড ভলান্টিয়ারের পাল্টা?
Covid Spike: যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন, তাঁদেরও বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার ও অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার মতো একাধিক পরিষেবা দিচ্ছেন তাঁরা।
উত্তর ২৪ পরগনা: কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় এবার ময়দানে নামল গ্রিন ভলান্টিয়ার। করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে বসিরহাটে কাজ করছে এই ‘সবুজ’ দল। গ্রিন ভলান্টিয়াররা বলছেন, তাঁদের অনুপ্রেরণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মযজ্ঞ।
একদল ছেলে কোভিড আক্রান্তদের সবরকম পরিষেবা দিচ্ছে। যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন, তাঁদেরও বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার ও অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার মতো একাধিক পরিষেবা দিচ্ছেন তাঁরা। বসিরহাটে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা করোনা আক্রান্ত। তাঁদের সংস্পর্শে যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা এসেছিলেন, তাদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতার বার্তাও দিচ্ছেন গ্রিন ভলান্টিয়াররা।
বসিরহাট শহরের বসিরহাট হাইস্কুল, বসিরহাট টাউন হাইস্কুল, হরিমোহন দালাল গার্লস হাইস্কুল ও সাঁইপালা প্রাথমিক বিদ্যালয়-সহ একাধিক প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে স্যানিটাইজেশনের কাজ। বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গ্রিন ভলান্টিয়ার কমিটির সভাপতি শম্ভু সাহার সহযোগিতায় স্কুল স্যানিটাইজেশনের কাজ করছেন সবুজ হালদার, সৈকত দাস, নিলয় হালদারের মতো স্বেচ্ছাসেবকরা।
বসিরহাট গ্রিন ভলান্টিয়ারের সভাপতি শম্ভু সাহা বলেন, “আমরা গ্রিন ভলান্টিয়ার একটি স্বেচ্ছাসেবক দল। গতবার করোনার সময়ও আমরা কাজ করেছি। করোনা রোগীদের যাঁদের বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার দরকার দিয়ে আসছি। যাঁদের খাবারের দরকার তাও দিয়ে আসছি। যে সব স্কুল স্যানিটাইজেশন দরকার সেটাও করছি। আমরা ১২-১৩ জন সদস্য রয়েছি। রাতদিন সবসময় আমাদের পাশে পাবেন এলাকার লোকজন। রাত একটা, দেড়টা, দু’টো যখনই আমাদের ডাকবেন, পাশে পাবেন। আমরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্কুল, বসিরহাট কলেজ স্যানিটাইজ করেছি। এখনও আরও স্কুলে স্যানিটাইজেশন হবে। করোনা আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও আমরা স্যানিটাইজেশন করব। বাজারও আমরা পরিষ্কার করছি।”
এ প্রসঙ্গে সাঁইপালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিআইসি সৈকত দাশ বলেন, “আমাদের স্কুলেরই চার পাঁজন শিক্ষক শিক্ষিকা করোনা সংক্রমিত। তাঁরা কোভিড পজিটিভ। এখন বাচ্চারা স্কুলে আসছে না। তবে শিক্ষক শিক্ষিকারা তো আসছেন। আমরা বাকি শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্বার্থে এই স্কুল স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় থেকে মাঠে নেমে কাজ করতে দেখা গিয়েছিল বাম মনোভাবাপন্ন একদল যুবাকে। তারা নিজেদের নাম দেয় রেড ভলান্টিয়ার হিসাবে। একটা সময়ের পর অবশ্য বাম সংগঠনগুলির সঙ্গে সরাসরি জুড়ে যায় এই স্বেচ্ছাসেবকদের নাম। সংগঠনের একাধিক যুব, তরুণ নেতাও এলাকার রেড ভলান্টিয়ার হয়ে ওঠেন। কোভিডকালে তাঁদের পরিষেবা প্রশংসা পেয়েছে সমাজের সবস্তরের মানুষের কাছে। পুরভোটে দেখা যায়, সিপিএমের প্রার্থী তালিকাতেও নাম রয়েছে কোনও কোনও রেড ভলান্টিয়ারের। বিধাননগরের পুরভোটেও বাম প্রার্থীদের একটা বড় অংশ রেড ভলান্টিয়ার হিসাবে এলাকায় যথেষ্ট পরিচিত মুখ।
গ্রিন ভলান্টিয়ার কি সেই রেড ভলান্টিয়ারেরই পাল্টা? গ্রিন ভলান্টিয়ারের সদস্যরা সে কথা মানতে নারাজ।
আরও পড়ুন: রাজ্যে সংক্রমণের ৭১ শতাংশই ওমিক্রন, তাই এখনও নিয়ন্ত্রণে মৃত্যু-হাসপাতালমুখী রোগীর সংখ্যা