Ratan Tata: অম্বানী-আদানির নাম থাকলেও বিশ্বের ধনীদের তালিকায় কেন কখনও থাকেননি রতন টাটা?
Rata Tata Wealth: টাটা গোষ্ঠীর নেট বাজারমূল্য ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি হলেও, ২০২৪ সালের আইআইএফএ হুরুন ওয়েলথ ইন্ডিয়া রিচ লিস্টের তালিকা অনুযায়ী, রতন টাটার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
নয়া দিল্লি: আজ রতন টাটার জন্মদিন। তবে এবার জন্মদিন পালন করার জন্য তিনি নেই। দেশের মানুষের মণিকোঠায় ছিলেন রতন টাটা। এত বড় শিল্পপতি, বিশ্বজুড়ে খ্যাতি ছিল তাঁর। তবে এত কিছুর পরও বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় নাম ছিল না রতন টাটার। কেন জানেন?
১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন রতন টাটা। বিদেশে যান উচ্চশিক্ষার জন্য। ১৯৬১ সালে তাঁর কাছে আইবিএম-র চাকরির অফার পান। কিন্তি সেই অফার প্রত্যাখ্যান করে যোগ দেন টাটা গ্রুপে। সেই থেকে কর্মজীবন শুরু। তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বের অন্য়তম সেরা কোম্পানিতে পরিণত হয় টাটা গ্রুপ। দেশের সবথেকে দামী সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম টাটা গ্রুপ। স্টিল থেকে শুরু করে চা-নুন, মশলা, সব ব্যবসাই রয়েছে টাটা গোষ্ঠীর।। তবে ব্যক্তিগত ধন-সম্পত্তির তালিকায় কখনও ছিল না রতন টাটার নাম।
টাটা গোষ্ঠীর নেট বাজারমূল্য ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি হলেও, ২০২৪ সালের আইআইএফএ হুরুন ওয়েলথ ইন্ডিয়া রিচ লিস্টের তালিকা অনুযায়ী, রতন টাটার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। কেন এত সম্পত্তি কম? কারণ রতন টাটা আজীবন দান-ধ্যানের মন্ত্র অনুসরণ করে চলেছেন।
সমাজসেবায় নিয়োজিত ছিল তাঁর প্রাণ। টাটা গ্রুপের সম্পত্তির একটা বড় অংশই টাটা সন্সের অধীনে। এই সংস্থার যাবতীয় লাভের একটা অংশ অনুদান হিসাবে টাটা ট্রাস্টে জমা পড়ে। যা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণের মতো নানা খাতে খরচ করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে হাসপাতাল, নানা অলাভজনক কোম্পানি রয়েছে টাটা সংস্থার অধীনে। এছাড়া টাটা সংস্থার কর্মীদেরও নানান সুবিধা দেওয়া হয়। কর্মীদের পরিবারের জন্যও বাসস্থান থেকে শিক্ষা, চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হয়। এই কারণেই বিশ্বের ধনীদের তালিকায় থাকে না রতন টাটার নাম।