CMO Grievance Cell: মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর চিঠি, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা
CMO Grievance Redressal Cell: পূর্ব-মধ্য কলকাতার এন্টালির বাসিন্দা ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের অভিযোগের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তরের (CMO West Bengal) গ্রিভান্স রিড্রেসাল সেলে (Grievance Redressal Cell) চিঠি পাঠিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর পরিবার। আর সেই চিঠি প্রাপ্তির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (West Bengal Government) কাছ থেকে প্রতিকার পেল ওই পরিবার। ছাত্রীর বাবার সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে ‘নিজেদের বাড়ি’ তৈরির স্বপ্নভঙ্গ থেকে অব্যাহতি পেল গোটা পরিবার।
পূর্ব-মধ্য কলকাতার এন্টালির বাসিন্দা ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের অভিযোগের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন ছাত্রীর বাবা
এন্টালির রফিকুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যার এই সমস্যা বিষয়ে রাজ্য সচিবালয়ের এক আধিকারিক জানান, ২০২০ সালে রফিকুল ইসলাম ৬৫০ বর্গফুটের দু-কামরার ফ্ল্যাটের জন্য এক রিয়েল-এস্টেট ডেভেলপারকে ১৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। নির্মাণকাজের অনেকটাই ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার পরেও তাঁদের পজেশন নিতে না দেওয়ায় সমস্যা বাড়তে থাকে। ফ্ল্যাটের পজেশন নিতে না দেওয়ার কোনও বৈধ কারণও দেখানো হয়নি বলে অভিযোগ।
রফিকুল ইসলাম মুর্শিদাবাদের একটি কলেজ থেকে স্নাতক হয়ে কলকাতায় আসেন। কলকাতায় তাঁর পরিবারের জন্য একটি ভাল বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করেন। সেই মতে ওই রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারকে ১৬ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু, পরিস্থিতি যেদিকে যায়, তাতে তাঁদের ‘স্বপ্নের বাড়ির’ স্বপ্নভঙ্গের উপক্রম হয়। তিনি টাকা ফেরতও পাচ্ছিলেন না, আবার ফ্ল্যাটের পজেশনও পাচ্ছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। গত অগস্ট মাস থেকে রফিকুল ইসলাম এই মানসিক চাপ নিতে না পেরে ক্রমেই ভেঙে পড়তে থাকেন।
হার না মানা জেদ ছোট্ট বিলকিসের
কিন্তু হাল ছেড়েনি রফিকুল ইসলামের ছোট মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী জাহিন বিলকিস। এক হার না মানা জেদ। গত সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের গ্রিভান্স সেলে পুরো ঘটনা জানিয়ে চিঠি লেখে ছোট্ট বিলকিস। চিঠি পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এন্টালি থানা থেকে ওই পরিবারকে প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস জানিয়ে ফোন করা হয়। কয়েকদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হওয়ায় তাঁরা স্বস্তি পান। উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের এই সেল রেকর্ড সময়ে সারা রাজ্যে ১১ লক্ষের বেশি অভিযোগের ৯৭ শতাংশ নিষ্পত্তি করেছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
