Saradha Scam: সুদীপ্ত সেনের চিঠির ভিত্তিতে তদন্ত করতে পারবে পুলিশ, হাইকোর্টের নির্দেশে অস্বস্তিতে শুভেন্দু!
Saradha Scam: সারদা মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। সেই সম্পর্কিত মামলায় কেন তদন্ত করছে পুলিশ? প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে।
কলকাতা : সারদা-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর নাম। সেই চিঠির ভিত্তিতে বিরোধী দলনেতাকে নোটিস দিয়েছে কাঁথি থানার পুলিশ। পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, পুলিশের তদন্ত করার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই। একই অপরাধে সমান্তরাল তদন্ত চলতে পারে বলে উল্লেখ করলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।
কাঁথি থানা সম্প্রতি সারদার তদন্তে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নোটিস দেয়। এরপরই জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সিবিআই যে মামলার তদন্ত করছে তাতে শুভেন্দুকে পুলিশ কীভাবে নোটিস দিতে পারে? প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করুক। এই আর্জিই জানানো হয়েছিল। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিল, পুলিশ তার তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। এই মুহূর্তে মামলা সিবিআইকে হস্তান্তর করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। ফলে সারদা মামলায় সুদীপ্ত সেনের চিঠির ভিত্তিতে তদন্ত করতে রাজ্য পুলিশের আর কোনও বাধা রইল না।
অন্যদিকে, মঙ্গলবারই কয়লা-কাণ্ডে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা স্পষ্ট জানান, তদন্তের ভার সিবিআই-এর হাতেই থাকবে, সিআইডি তদন্তের কোনও প্রয়োজন নেই। সিবিআই যখন তদন্ত করছে, তখন কেন আবার সিআইডি তদন্ত? এই প্রশ্ন তুলেই হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারির আইনজীবী। কিন্তু শুভেন্দু একই প্রশ্ন তুললেও, সে ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের তদন্তকে সমর্থন করেছে আদাল।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বিধাননগরে এমপি-এমএলএ আদালতের বাইরে সুদীপ্ত সেন বলেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী টাকা নিয়েছিলেন। তাঁর দেওয়া দ্বিতীয় চিঠিতে শুভেন্দুর নাম উল্লেখও করেন তিনি। তাঁর দাবি, শুভেন্দু তাঁর কাছ থেকে একাধিকবার টাকা নিয়েছেন। সেই মামলাতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।