Kazi Nazrul University: আপাতত বরখাস্ত নয় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে, স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

Shrabanti Saha | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Mar 22, 2023 | 4:46 PM

Kazi Nazrul University: বুধবার চন্দন কোনারের আইনজীবী জয়দীপ করের বক্তব্য ছিল, শুধুমাত্র এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের হাতেই ক্ষমতা আছে চাকরি থেকে রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করার।

Kazi Nazrul University: আপাতত বরখাস্ত নয় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে, স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট
রেজিস্ট্রারকে নোটিস দেওয়া হয়েছে

Follow Us

কলকাতা : আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সেই নোটিসে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার সেই মামলায় তিন সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার চাকরি বরখাস্তের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলায় আপাতত স্বস্তি পেলেন রেজিস্ট্রার।

বুধবার চন্দন কোনারের আইনজীবী জয়দীপ করের বক্তব্য ছিল, শুধুমাত্র এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের হাতেই ক্ষমতা আছে চাকরি থেকে রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করার। ‘কাজে আসার আর কোনও দরকার নেই’, এই কথা লেখার পিছনে কোনও কারণ নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। যদি রেজিস্ট্রার কোনও কাজ করতে অক্ষম হয়, তখনই এমন লেখা যায়।

অন্যদিকে, উপাচার্যের আইনজীবী অরুনাংশু চক্রবর্তীর বক্তব্য, রেজিস্ট্রার প্রভেশন পিরিয়ডে ছিলেন। তাই উপাচার্য তাঁকে অপসারিত করতেই পারেন। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে, তাঁর হাতে ক্ষমতা আছে। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বেআইনিভাবে সরানো হয়েছে , এই অভিযোগেই মামলা হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-র (DA) দেওয়ার দাবিতে ১০ মার্চ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল সরকারি কর্মীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের পক্ষ থেকে। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। অভিযোগ ওঠে, রেজিস্ট্রার সেই ধর্মঘটে অনুপস্থিত কর্মীদের সরকারি নির্দেশনামা উপেক্ষা করে পুরো বেতন দিয়ে দেন ও উপস্থিতির রেজিস্টার অর্থ মন্ত্রকে পাঠাতে অসহযোগিতা করেন। এই অভিযোগ তুলে রেজিস্ট্রারকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নোটিস দেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ডক্টর সাধন চক্রবর্তী। পরে রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে গেলে তাঁকে আটকে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা প্রতিবাদে সামিল হন। রেজিস্ট্রারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত নোটিস প্রত্যাহারের দাবি তোলা হয়।

Next Article