কলকাতা: এদিন সন্ধ্যায় আট থেকে দশ আসনে নতুন প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে আইএসএফ (ISF)। খবরটা আগেই মিলেছিল। সাতটা নাগাদ আইএসএফের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ফুরফুরা শরিফ থেকে দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা সামনে আসতে পারে বলে খবর। আগেই ডায়মন্ড-হারবার থেকে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। এদিনও টিভি-৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে আগের অবস্থানেই অনড় রইলেন তিনি। তবে লড়ছেন কী লড়ছেন না সে বিষয়ে নিশ্চতভাবে কিছু বললেন না। একইসঙ্গে প্রার্থী তালিকা দিতে দেরি হওয়ার পিছনেও বাম, কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুললেন নওশাদ।
এদিন টিভি-৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, “ডায়মন্ড-হারবারে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে তো আমি আগেই বলেছি। লড়তে চাই আগেই বলেছি। মানসিকভাবে আমার ১০০ শতাংশ প্রস্তুতি আছে। তারপরেও কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। কারণ আমি একা হয়ে যাচ্ছি বিধানসভায়। সেই বাধ্যবাধকতা আছে। দল আলোচনা করছে।” ডায়মন্ড-হারবারে প্রার্থী হওয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই আরও বললেন, “আমাকে অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে আমি জানিয়েছি। আজকে সন্ধ্যা সাতটা ঘোষণা আছে। আপনারা দেখতে পাবেন দল আমাকে অনুমোদন দিল কী দিল না। নাকি অন্য কাজে আমাকে বহাল করার ব্যাপারে ভাবছে সেটা সন্ধ্যাবেলাই দেখতে পাবেন।”
অন্যদিকে প্রার্থী দিতে দেরি হওয়ায় ঘাসফুল শিবির যে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন তা এদিন স্বীকার করে নিলেন তিনি। বল ঠেললেন বাম-কংগ্রেসের কোর্টে। সাফ বললেন, “অভিষেকের অ্যাডভান্টেজের কথাটা আমি উড়িয়ে দিচ্ছি না। কিন্তু, আমাদের জোট নিয়ে বড় বড় দলগুলির সঙ্গে আলোচনা চলছিল। বামফ্রন্ট বা কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। সে কারণে আমাদের পিছিয়ে যেতে হল। শুধু ডায়মন্ড-হারবার নয়, অনেক জায়গাতেই আমাদের প্রার্থী দেওয়া হয়নি। আলোচনা চলছিল। কিন্তু দেখছি শুধু সময়টা শেষ হচ্ছে। টাইম কিল হচ্ছে। সদর্থক ভূমিকা দেখতে পাচ্ছি না। ফলে আমরা আজকে ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছি।”