Jadavpur University: ‘আমাকে কেউ ইনভল্ভ করতে চাইছে না…’, বিছানায় শুয়েই বললেন যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য
Jadavpur University: সেই থেকেই রয়েছেন বাড়িতে। এখনও ফিরতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবার নিজের বাড়িতে যখন শয্যাশায়ী ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য।

কলকাতা: মাথার উপরে জানলা। ফুরে ফুরে হাওয়ায় পর্দা নড়ছে ক্রমাগত। সেখানেই বিছানায় শয্যাশায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। শনিবারের অশান্তির ঘটনার পর থেকেই অসুস্থ তিনি। রয়েছেন বাড়িতেই।
সেদিন যখন শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে ক্রমাগত পারদ চড়ছে ক্য়াম্পাসে। সেই আবহেই হেনস্থার শিকার হন বলে অভিযোগ করেছিলেন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। তিনি জানিয়েছিলেন, এক দল পড়ুয়া নাকি তাঁর জামা ছিঁড়ে দিয়েছে। যার জেরে রক্তচাপ বাড়ে তাঁর। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
সেই থেকেই রয়েছেন বাড়িতে। এখনও ফিরতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবার নিজের বাড়িতে যখন শয্যাশায়ী ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। সেই সময় যাদবপুরে চলছে বিক্ষিপ্ত ধর্মঘট। বাম ছাত্র সংগঠন যাদবপুরের গেটের বাইরে চালাচ্ছে নিজেদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ।
এদিন উপাচার্য বলেন, ‘আমার ধারণা, একটা গণতান্ত্রিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে কোনও কিছুর সমাধান করা সম্ভব। যাদবপুর একটা নিজের মান উন্নয়নের পথে প্রতি মুহূর্তে এগিয়ে চলেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে এমন ঘটনা কোনও ভাবেই বাঞ্চনীয় নয়।’
শনির অশান্তি যখন পারদ চড়িয়েছে গোটা রাজ্য়ের। ফের একবার প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে যাদবপুর। সেই আবহে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের মুখে শোনা গিয়েছিল ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের প্রসঙ্গ’। তবে দিন পেরতেই বয়ান বদল। তিনি যে কখনওই যাদবপুরের ‘তালা ঝোলানোর পক্ষপাতী নন’, সেই নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি।
পাশাপাশি, তাঁর দাবি, ‘আমার নিজের খুব খারাপ লেগেছে। ছাত্রছাত্রীরাও তো আমার সন্তানসমূহ। ওদের কারওর গায়ে আঘাত লাগলে, তা আমার গায়েও লাগে। আমি প্রতি মুহূর্তে খবর রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু ডাক্তার বেড রেস্টে থাকতে বলায়, আমাকে খুব একটা কেউ ‘ইনভল্ভ’ করতে চাইছে না।’

