Recruitment Scam: বাধ মানল না চোখের জল, সবার অলক্ষ্যে চোখ মুছলেন জীবনকৃষ্ণ
Jiban Krishna Saha: হেফাজতে থাকাকালীন তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে জেল হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই আর্জি মেনে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

কলকাতা: বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে এক নাটকীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আধিকারিকরা। ছুড়ে ফেলে দেওয়া হল ফোন, তারপর কাদায় পড়ে গড়াগড়ি! এসবের পর শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। আজ, শনিবার যখন আদালতে তোলা হল, তখন সেই জীবনকৃষ্ণ যেন একেবারে অন্য মানুষ। চোখের জল আটকাতে পারলেন না তিনি।
ইডি হেফাজত শেষে আজ, শনিবার আদালতে পেশ করা হয় নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। আদালতে ইডি দাবি করে, তদন্তে কোনও সহযোগিতাই করেননি জীবন। শুধু তাই নয়, বিধায়কের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত কোনও উত্তরও মেলেনি বলেও জানিয়েছেন ইডি-র আইনজীবী।
হেফাজতে থাকাকালীন তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে জেল হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই আর্জি মেনে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ইডি-র বক্তব্যে উঠে এসেছে যে, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা আলুর ব্যবসায় খাটাতেন জীবনকৃষ্ণ। ইডি-র দাবি, ওই টাকায় আলু কিনে, কোল্ড স্টোরেজে রেখে, দাম বাড়িয়ে পরবর্তীতে বিক্রি করেছেন। এছাড়া জীবনের অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে, যার কোনও হিসেব নেই বলে অভিযোগ। ২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত হয়েছে ওই লেনদেন। জীবনকৃষ্ণের বিপুল সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এদিন শুনানি শুরুর আগে যখন এজলাসের লকআপে রাখা হয়েছিল জীলনকৃষ্ণকে, তখন তাঁর চোখে দেখা গেল জল। লক আপের বাইরে একটি বেঞ্চে বসেছিলেন জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী ও ছেলে। ছেলেকে দেখে এদিন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন জীবন। ছেলের নজর এড়িয়ে কেঁদেও ফেললেন তিনি। অন্যদিকে তাকিয়ে মুছে নিলেন চোখের জল। তারপর আবার ছেলের দিকে তাকিয়ে কথা বলার চেষ্টাও করলেন। যদি পুলিশ তাঁকে কথা বলতে নিষেধ করে। তাঁর স্ত্রী’র চোখেও জল দেখা যায় এদিন।
