Job Seekers: ‘ধরনামঞ্চে আর কেউ বসে থাকবে না…’, এবার শুধু ‘সরকারের সদিচ্ছার’ অপেক্ষায় চাকরিপ্রার্থীরা

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: Soumya Saha

Jan 29, 2024 | 8:28 PM

Job Seekers: সুপ্রিম কোর্টের এই সবুজ সংকেতের পরই আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরাও আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, 'বিচার ব্যবস্থার উপর আমাদের ভরসা আছে। যাঁরা অযোগ্য, তাঁদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের নিয়োগ করলে, ধরনামঞ্চে আর কেউ বসে থাকবে না। স্কুলগুলিও নিয়োগ পাবে। এখন দেখা যাক কী হয়।'

Job Seekers: ধরনামঞ্চে আর কেউ বসে থাকবে না..., এবার শুধু সরকারের সদিচ্ছার অপেক্ষায় চাকরিপ্রার্থীরা
চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনমঞ্চ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: সোমবারই ‘সুপ্রিম’ দুয়ার থেকে বড় স্বস্তির বার্তা পেয়েছেন বাংলার প্রাথমিক শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থীরা। প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় প্যানেলের উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে শীর্ষ আদালত। আর এই স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়ার ফলে ১১ হাজার ৭৬৫ জনের চাকরির ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকল না বলেই মনে করছে শিক্ষা মহল।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের এই সবুজ সংকেতের পরই আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরাও আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, ‘বিচার ব্যবস্থার উপর আমাদের ভরসা আছে। যাঁরা অযোগ্য, তাঁদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের নিয়োগ করলে, ধরনামঞ্চে আর কেউ বসে থাকবে না। স্কুলগুলিও নিয়োগ পাবে। এখন দেখা যাক কী হয়।’ অর্থাৎ, শীর্ষ আদালতের গ্রিন সিগনালের পর, সরকারের সদিচ্ছার দিকে তাকিয়ে অপেক্ষায় থাকছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনকারীরা বলছেন, ‘আমরা সবসময় চাইছি যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হোক। একইসঙ্গে আমাদের নজর থাকে সরকারের সদিচ্ছা কতটা থাকবে।’

প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, নিয়োগের বিষয়ে পর্ষদের তরফে প্রস্তুতি পর্ব মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদিকে আজ এই চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও আশার কথাই শোনাচ্ছেন। অতীতে চাকরির জট কাটাতে বিভিন্ন বৈঠকগুলিতে সরকার ও চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করতে দেখা গিয়েছে কুণালকে। আজ কুণাল আবারও বললেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী চান চাকরি দিতে। শিক্ষক নিয়োগের জট যাতে খুলে যায়। সে জন্য রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা দফতর ও স্বশাসিত সংস্থাগুলি আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিছু কিছু জায়গায়, কোনও কোনও কারণে আইনের জট ছিল। কিছু ক্ষেত্রে জোর করে সেই জট তৈরি করে রাখা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী বার বার কোর্টের কাছে অনুরোধ করেছেন, প্রকাশ্যেও বলেছেন, দয়া করে জটটা খুলে দিন। নিয়োগটা দিতে চাই। যত জট খুলতে থাকে, সেটা তো ভাল। মুখ্যমন্ত্রী যেটা চাইছেন, সেভাবেই নিয়োগ হবে।’

তবে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘আমার আশা করব এই জট কাটুক। কিন্তু সরকার ইচ্ছে করে এই জট পাকিয়ে রেখেছে। সরকার চায় না, মাইনে দিতে হোক। কারণ মাইনে দিতে গেলে সরকারের অবস্থা দেউলিয়া হয়ে যাবে।’

Next Article